চরম ঝুঁকির মধ্যে কাপ্পানের জীবন - মুক্তির আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানাকে চিঠি স্ত্রীর

পশুর মতো চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে কাপ্পানকে। "চরম ঝুঁকির মধ্যে তাঁর জীবন"। মথুরা মেডিক্যাল কলেজ থেকে সিদ্দিকি কাপ্পানকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে চিঠি লিখলেন স্ত্রী ।
সিদ্দিকি কাপ্পান
সিদ্দিকি কাপ্পানফাইল ছবি নিউজ মিনিটের সৌজন্যে
Published on

পশুর মতো চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে। "চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাঁর জীবন"। এই অভিযোগ তুলে মথুরা মেডিক্যাল কলেজ থেকে সিদ্দিকি কাপ্পানকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য সদ‍্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে চিঠি লিখলেন কাপ্পানের স্ত্রী রেইহান্থ কাপ্পান। চিঠিতে এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।

Livelaw-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে শ্রীমতী কাপ্পান অভিযোগ করেছেন, চারদিন আগে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে সিদ্দিকি কাপ্পানের। এরপর মথুরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালের বেডে চারদিন ধরে পশুর মতো বেঁধে রাখা হয়েছে তাঁকে। খাবার খাওয়া তো দূরের কথা বাথরুমে যেতেও পারছেন না সিদ্দিকি, এমনটাই অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এখনই যদি কোনো ব‍্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে সাংবাদিকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মথুরা মেডিক্যাল কলেজ থেকে মথুরা কারাগারে কাপ্পানকে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মিসেস কাপ্পান।

মিসেস কাপ্পানের এই কাতর অনুরোধের খবর প্রকাশ‍্যে আসার পরই সাংবাদিক কাপ্পানের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। কেবল হাসপাতাল থেকে নয়, কাপ্পানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন নেটিজেনরি। ভারতের ট‍্যুইটারে ট্রেন্ডিং হচ্ছে #FreeSiddiqueKappan। ইতিমধ্যেই এই হ‍্যাশট‍্যাগ ব্যবহার করে কয়েক হাজার ট‍্যুইট করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর‌ ৫ অক্টোবর ১৯ বছরের এক দলিত নাবালিকার গণধর্ষণের খবর সংগ্রহের জন্য হাথরস যাওয়ার পথে সিদ্দিকি কাপ্পানকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে UAPA আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়। তখন থেকেই মথুরা জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অভিযোগ, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া-র সাথে যোগাযোগ রয়েছে সাংবাদিকের।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in