

কৃষি আইন সম্পর্কে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবার পরেই বিজেপি সাংসদ ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে বহিষ্কার করার জোরালো দাবি তুললো কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি দলীয় সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের বক্তব্যের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব সহমত না হয় তাহলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।
বুধবার বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত তিন কৃষি আইন প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে তিনি এই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন। এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, কৃষি আইন প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছিলেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত এবং এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, এখন আর তিনি শুধুমাত্র একজন শিল্পী নন। এখন তিনি বিজেপির একজন সাংসদ। তাই তাঁর বক্তব্য অবশ্যই দলীয় নীতি অনুসারেই হওয়া উচিত।
কঙ্গনার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপির কড়া সমালোচনা করে বুধবার বলেন, হরিয়ানা সহ যেসব রাজ্যের নির্বাচন আসন্ন সেখানকার মানুষ কৃষকদের অপমানের যথাযোগ্য উত্তর দেবেন।
এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, দেশের ৬২ কোটি কৃষক কখনই ভুলবে না যে মোদী সরকার কীভাবে একটি গাড়ির তলায় কৃষকদের পিষে মেরেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কাঁটাতার ব্যবহার করা হয়েছিল, ড্রোন থেকে টিয়ারগ্যাস ছোঁড়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছিল।
কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, ৭৫০ জন কৃষকের বলিদানের পরেও বিজেপি এবং মোদী সরকার তাদের ঘৃণ্য অপরাধ বুঝতে পারেনি। কৃষক বিরোধী মোদী সরকার এবং বিজেপি তাদের অপরাধ বুঝতে পারেনি। এখন আবার সেই তিন কালা আইন ফেরত আনার দাবি করছে। কংগ্রেস এর তীব্র বিরোধিতা করবে।
খাড়গে বলেন, শেষ দশ বছরে মোদী সরকার দেশের অন্নদাতাদের দেওয়া তিন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। প্রথমত তাঁরা বলেছিল ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ হবে, স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট মানা হবে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। যার কোনোটিই রক্ষা করা হয়নি।
সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউত বলেন, “আমি জানি এটি বিতর্কিত হবে। কিন্তু আমি মনে করি যে সমস্ত কৃষি আইন বাতিল করা হয়েছিল তা ফিরিয়ে আনা উচিত। কৃষকদের উচিত এই দাবি তাঁরা নিজেরাই করুক। তাঁরা দেশের উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ এবং আমি তাঁদের কাছে আবেদন করতে চাই - আপনাদের দাবি হোক, নিজের ভালোর জন্য আইন ফিরিয়ে দিন”।
যদিও দলীয় সাংসদের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, 'কঙ্গনার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। কৃষি আইন নিয়ে দলীয় অবস্থানের সাথে কঙ্গনার বক্তব্যের কোনও মিল নেই।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন