

ফের আক্রান্ত সাংবাদিক। জমি মাফিয়াদের নিয়ে খবর করার অপরাধে গুলিবিদ্ধ হলেন উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার এক সাংবাদিক। মন্নু আওয়াস্তি নামের ওই সাংবাদিককে শনিবার রাতে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় মাঝরাস্তায় গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। ডানকাঁধে গুরুতর আঘাত নিয়ে আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিক এই মুহূর্তে কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত ও টাটকা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে উন্নাও পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল এসপি শশী শেখর সিং।
উন্নাওয়ের ২৫ বছর বয়সী সাংবাদিক মন্নু আওয়াস্তি চলতি বছরের মার্চ মাসেই উন্নাও পুলিশের এসপি ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, জমি মাফিয়ার একটি চার সদস্যের দলের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিও প্রকাশ করে তিনি জানান, কিছুদিন ধরেই তাঁকে কয়েকটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি বিভিন্ন জায়গায় অনুসরণ করছে। এছাড়াও, জমি মাফিয়া নিয়ে খবর করায় এক বিজেপি বিধায়কও তাঁকে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ করেন মন্নু আওয়াস্তি।
ঠিক যে জায়গায় ওই সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ, সেই ঘটনাস্থল থেকে টাটকা ও ব্যবহৃত কার্তুজ পাওয়া গেলেও উন্নাও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের 'সত্যতা' নিয়ে সন্দিহান। প্রাথমিক তদন্তের পর রবিবার বিকেল নাগাদ সাংবাদিক মন্নু আওয়াস্তি আদৌও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন উন্নাও পুলিশের এসপি সিদ্ধার্থ শংকর মীনা। তিনি জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে ওই সাংবাদিক পুলিশকে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। এমনকি উন্নাও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মন্নু আওয়াস্তির শরীরে আদৌও গুলির আঘাতের ক্ষত রয়েছে কি না সে বিষয়ে চিকিৎসকেরাও স্পষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি।
আবার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজের সঙ্গে ওই সাংবাদিকের আঘাতের কোনও মিল নেই বলেও জানিয়েছেন এসপি মীনা। তাঁর আরও দাবি, গত মার্চ মাসে করা অভিযোগের পর পুলিশের পক্ষ থেকে মন্নুকে কয়েকজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেই ওই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বিরক্ত করছে বলে আবারও অভিযোগ করেন মন্নু। তারপরেই সরিয়ে নেওয়া হয় নিরাপত্তারক্ষীদের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন