

রাজ্যসভার সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিটাসকে শো-কজ নোটিশ পাঠালেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রে এক নিবন্ধ লিখেছিলেন সিপিআইএম সাংসদ ব্রিটাস। যে নিবন্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কিছু সমালোচনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর এই নিবন্ধকে ঘিরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। জন ব্রিটাসকে লিখিতভাবে এই নিবন্ধ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি সিপিআইএম সাংসদের এই নিবন্ধ প্রকাশিত হবার পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন বিজেপি কেরালার সাধারণ সম্পাদক পি আর সুধীর। তাঁর অভিযোগে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করা হয়েছে। যা দেশদ্রোহিতার নামান্তর। তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরণের মেরুকরণের নিবন্ধ প্রকাশ বন্ধ করা হোক।
এই বছরের শুরুতে কর্ণাটকে এক সভায় ভাষণ দেবার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, একমাত্র বিজেপিই পারে কর্ণাটককে নিরাপদে রাখতে। আপনাদের পাশেই কেরালা। আমি সেখানকার সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলতে চাই না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই প্রতিবাদ জানায় সিপিআইএম এবং কংগ্রেস।
সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিটাস এই ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর নিবন্ধে লেখেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এই মন্তব্য ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩এ (শত্রুতায় ইন্ধন যোগানো) লঙ্ঘন করে। তিনি আরও লিখেছিলেন যে, কেরালার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর "পর্যায়ক্রমিক বিস্ফোরণ" আসলে তাঁর "হতাশা"র কারণে। কারণ তাঁরা "ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার" চেষ্টা করছেন। ব্রিটাস বলেন, "কেরালা অক্লান্তভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দলের পরিকল্পনাকে প্রতিহত করে চলেছে।"
ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিটাস জানিয়েছেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগে তিনি বিস্মিত। এই নিবন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেরালা প্রসঙ্গিত বক্তব্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছিল। আমি কেবল তাঁর মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করছিলাম।
ব্রিটাস আরও জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আরও জানান, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন