
বিধায়কপদ খারিজ হতে পারে, এমন আশঙ্কার মাঝে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) এবং জোটসঙ্গী কংগ্রেসের বিধায়কদের শনিবার খুন্তি জেলায় স্থানান্তরিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার, হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজের সম্মতি জানিয়ে রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে, সোরেন দাবি করেছেন, তিনি নির্বাচন কমিশন বা গভর্নরের কাছ থেকে তাঁর বিধায়কপদ অযোগ্য ঘোষণা সংক্রান্ত কোনও চিঠি পাননি।
এদিন, জাতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, শনিবার রাজ্যপাল রমেশ বেইস নির্বাচন কমিশনের কাছে সোরেনের অযোগ্যতার আদেশ পাঠাতে পারেন। আর, এই সম্ভাবনার মাঝেই নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে ঝাড়খণ্ডের JMM-কংগ্রেস জোট সরকার।
জানা যাচ্ছে, শনিবার, রাঁচিতে সোরেনের বাসভবনে একটি বৈঠক করেন ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড প্রগতিশীল জোটের (UPA) বিধায়করা। এই জোটের শরিক হল - ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM), কংগ্রেস (INC), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এবং বাম দল (Left Parties)।
এই বৈঠকের পরই UPA বিধায়কদের লাগেজ নিয়ে বাসে উঠতে দেখা যায়। হেমন্ত সোরেনও বাসে উঠেন। বেশ কিছুক্ষণ পর রাঁচি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে খুন্তির লাতরাতু বাঁধের কাছে একটি হ্রদে নৌকা ভ্রমন করতে দেখা যায় বিধায়কদের। সেখানেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মন্ত্রী সত্যানন্দ ভোক্তা (Satyanand Bhokta) জানান, ‘সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়করা একসঙ্গে আছেন। আমরা অন্য জায়গায়ও যাব, জানি না আমরা কোথায় যাব। এই মুহুর্তে কিছু কাজ চলছে।’
সংবাদ সংস্থা ANI জানিয়েছে, ‘বৈঠকের আগে, ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রাজেশ ঠাকুর বলেছেন, বিধায়করা মিটিংয়ের জন্য লাগেজ নিয়ে আসছেন। কারণ, তাঁদের অন্যত্র যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’
সূত্রের খবর, বিজেপি (BJP) যাতে কোনওভাবেই দল ভাঙাতে না পারে, তাই জোটসঙ্গী বিধায়কদের ছত্তিশগড়ের রায়পুরের মেফেয়ার হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে, ঝাড়খণ্ডের ৮২ আসনের বিধানসভায় JMM-এর ৩০ জন ও কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক রয়েছে। ছোট দলগুলির সমর্থন রয়েছে JMM-এর কাছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন