আমরা শুনেছি মানুষ জামাকাপড় কেনে, মুদিখানা থেকে নিত্যব্যবহার্য জিনিস কেনে, রেশন কেনে। কিন্তু বিজেপি শুধু বিধায়ক কেনে। সোমবার ঝাড়খন্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিশেষ একদিনের অধিবেশনে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর অভিযোগ, অন্যান্য রাজ্যের মত এই রাজ্যেও সরকার ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
এদিন বিধানসভায় হেমন্ত সোরেন বলেন, রাজ্যের বিরোধীরা গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। বিজেপি বিধায়কদের কেনাবেচা করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বিধানসভায় আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেব। এদিন হেমন্ত সোরেনের বক্তব্য পেশের সময় বিধানসভা কক্ষে বিরোধী বিজেপি বিধায়করা তুমুল হট্টগোল করছিলেন।
এদিন হেমন্ত সোরেন আরও বলেন, আমার সরকার ফেলার জন্য বিজেপি সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য ঘোড়া কেনাবেচা আটকাতে ঝাড়খন্ডে জোট সরকারের বিধায়কদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গতকালই তাঁদের ছত্তিশগড়ের গোপন আস্তানা থেকে রাজধানী শহর রাঁচিতে ফিরিয়ে আনা হয়। রাতে রাজ্যের অতিথিশালায় তাঁদের রাখা হয় এবং সোমবার সকালে সেখান থেকেই সরাসরি তাঁদের বিধানসভায় নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ড বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ৮১। যার মধ্যে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা ৪৯। যার মধ্যে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক সংখ্যা ৩০, কংগ্রেসের ১৮ এবং আরজেডি-র ১ জন। অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৬। ঝাড়খন্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন