গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থের যোগান বাড়াতে হবে। ১০০ দিনের কাজে আরও জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কেন্দ্রকে এমন বার্তা দিল শিল্পমহল। এর আগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অবশ্য সাফাই দেওয়া হয়েছে যে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার শিল্পবান্ধব পরিবেশ বানিয়ে দিতে সবরকম চেষ্টা করেছে। এবার বাকিটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায় বর্তেছে শিল্পমহলের উপর। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দায়িত্ব নিক তারা। শিল্পমহলকে এমনটাই আবেদন জানিয়ে মোদি সরকারের বক্তব্য, বিভিন্ন শিল্পমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেটেও সহায়তার হাত বাড়ানো হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমহল বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দিতে দাবি করেছে।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) ন্যাশনাল কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। সেখানে বাজেট ঘোষণার পর সরকার ও শিল্পমহল দু'পক্ষই উভয়কে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। অর্থমন্ত্রী সরাসরি শিল্পমহলকে আবেদন করলেন, এখন সময় এসেছে দেশের শিল্প গোষ্ঠীগুলি লগ্নি করুক বিভিন্ন সেক্টরে। তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিলেন আরও একবার যে, কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াকে আরও বেশি জোরালো করা হয়েছে। চিরাচরিত শিল্পক্ষেত্রগুলি ছাড়াও আরও নতুন নতুন সেক্টরেও শিল্পমহল বিনা দ্বিধায় এগিয়ে আসুক।
পাশাপাশি বণিকসভায় কিছু শিল্পপতি অর্থমন্ত্রীকে গ্রামীণ অর্থনীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামীণ অর্থনীতির ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থের জোগান হলেই তা প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রধান হাতিয়ার মাধ্যম ১০০ দিনের কাজ। তাই সরকারের উচিত এই প্রকল্পকে চাঙ্গা রাখা। বরাদ্দ যেন কম করা না হয়, প্রয়োজনে বাড়াতে হবে।
প্রসঙ্গত, শিল্পমহল এই পরামর্শ দিলেও মোদি সরকার কিন্তু উল্টোপথে হেঁটেছে। বাজেটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। ২০২১-২২ সালে ৯৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল সংশোধিত বাজেটে। এবার বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।