

কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শুক্রবার দিল্লীর যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ দেখালো ১৬ টি ছাত্র সংগঠন। বিজেপি বিরোধী দলগুলির যৌথ মঞ্চ ইন্ডিয়ার ছাত্র সংগঠনগুলি এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। এই নতুন শিক্ষানীতিতে শিক্ষার বেসরকারীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের অভিযোগ করেছে তারা।
ছাত্র সংগঠনগুলি 'ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অফ ইন্ডিয়া'-র ব্যানারে জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০২০ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একত্রিত হয়েছিল৷ এরপর ১ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইতে মেগা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা।
এই জোটের মধ্যে রয়েছে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই), অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ), অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এআইএসএফ), ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (এনএসইউআই), ছাত্র যুব সংগ্রাম সমিতি (সিওয়াইএসএস), আম আদমি পার্টি (এএপি) এর ছাত্র শাখা এবং অন্যান্য উপজাতি ও দ্রাবিড় ছাত্র রাজনৈতিক দল।
এই বিক্ষোভ নিয়ে এসএফআই নেতা এবং জেএনইউএসইউ-এর সভাপতি ঐশী ঘোষ বলেছেন, "সরকার যে তহবিল খরচ করেছে তা পর্যাপ্ত নয়। সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কলেজগুলি খারাপ অবস্থায় রয়েছে এবং একাডেমিক অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।"
এদিন ঐশী ঘোষ আরও বলেন, “এই শিক্ষানীতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে এবং এটি আর্থিক সহায়তা হ্রাস করেছে। এই প্রতিবাদ ভারতের ছাত্র-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে।“
দেশের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এদিন তাদের নিজ নিজ দলের পতাকা হাতে বিক্ষোভে যোগ দেয়। আগে, ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অফ ইন্ডিয়া পার্লামেন্টের দিকে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে পরে, যন্তর মন্তরকে বিক্ষোভের স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন