সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে কিছুটা স্বস্তিতে উদ্ধব ঠাকরে। নিজেদের ‘আসল সেনা’ বলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে যে দাবি করেছেন, তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
‘শিবসেনা’ দলের রাশ ও প্রতীক কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে জোর লড়াই শুরু হয়েছে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ সিন্ধে গোষ্ঠীর মধ্যে। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন।
এই ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয়েছেন একনাথ সিন্ধে। তিনি দাবি করেন, কোনও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। গণতান্ত্রিক ভাবে একটি রাজনৈতিক দল রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে। সেই দলের রাশ কার হাতে থাকবে, তা ঠিক করুক নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে, উদ্ধবের দায়ের করা মামলা খারিজের আবেদন করেন তিনি।
গত ২৩ জুলাই, দুই পক্ষকে (উদ্ধব-একনাথ) যথাযথ তথ্য-প্রমাণ জমা করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে এই তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে বলে জানায় কমিশন। তারপরে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে শুনানি শুরু করবে, এমনই খবর ছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যেন একনাথ সিন্ধের আবেদনের ভিত্তিতে এখনই কোনও পদক্ষেপ না নেয়।
জানা যাচ্ছে, ‘শিবসেনা’ দলের বিষয়টি সংবিধান বেঞ্চের কাছে পাঠানোর প্রয়োজন আছে কি না, আগামী সোমবার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।
আজ, আদালতে শুনানি চলাকালীন সিন্ধে গোষ্ঠীকে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা জিজ্ঞাসা করেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পরে আপনি যদি রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেন, তবে এটি কি গণতন্ত্রের জন্য বিপদ নয়?’ উত্তরে, সিন্ধে গোষ্ঠীর আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, ‘না’।
গত জুন মাসে, শিবসেনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সিন্ধে-সহ একাধিক সেনা বিধায়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়েন উদ্ধব ঠাকরে। এরপর সিন্ধে তাঁর বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেন। সিন্ধে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে লড়াই চলছে এখন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।