
উত্তরপ্রদেশে যদি কৃষকরা আন্দোলন করেন, তাহলে তাঁদের মেরে চামড়া গুটিয়ে দেবে। এমনটা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। গত ২৯ জুলাই বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেলে এরকম একটি কার্টুন প্রকাশ হয়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আবার উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, যোগীরাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার কোনও তুলনা হয় না। দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে উত্তরপ্রদেশ।
গত ২৬ জুলাই লখনও কৃষক সমাবেশে কৃষক নেতারা জানান, সেপ্টেম্বর মাস ধরে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডজুড়ে নয়া কৃষি আইন বাতিল ও কৃষকদের রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রচার আন্দোলন চলবে। ভারতে কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত জানান, কৃষকদের দাবির সমর্থনে রাজ্যের ৭৫ জেলায় হবে মহা পঞ্চায়েত। এই ঘোষণার পরই আন্দোলন স্তব্ধ করার জন্য বিজেপির হুমকি প্রদর্শন শুরু হয়।
কার্টুনে এক বাহুবলিকে দিয়ে কৃষক নেতার উদ্দেশ্যে বলানো হয়েছে, শুনলাম তোরা লক্ষ্ণৌ যাচ্ছিস। সেখানে কারও সঙ্গে সংঘাতে যাস না। যোগী ওখানে বসে আছেন। তিনি তোদের মেরে চামড়া তুলে দেবেন। তোদের সবাইকে মেরে পোস্টার করে শহরের সব দেয়ালে টাঙিয়ে দেবেন।' এই পোস্টার হুমকি নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও কৃষকরা জানান, আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। দিল্লিতে আন্দোলন করা যাবে না বলে বিজেপি হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তবুও আন্দোলন হয়েছিল।
কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব জানান, উত্তরপ্রদেশে কৃষক আন্দোলন জারি থাকবে। বিজেপির হুমকি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কৃষক আন্দোলন দমন করার জন্য নানা পথ নিয়েছেন। কার্টুনে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে বিজেপির আসল মুখই বেরিয়ে পড়েছে।
কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার লালু বলেন, কার্টুনে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, গুন্ডা বাহুবলীকে দিয়ে কৃষক আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে বিজেপির ষড়যন্ত্র সফল হবে না। যদিও কৃষকদের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন