আসামের ঘটনার জের - EVM-এর নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক কমিশন
ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে যাতে কোনওরকম কারচুপি না হয়, সেই জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, জেলার নির্বাচনী প্রধান বা ডিইও এবং রিটার্নিং অফিসারদের সবসময় নজর রাখতে ইভিএমের ওপর। ডিস্ট্রিবিউশন কেন্দ্র ভোট কেন্দ্র এবং সেখান থেকে স্টোররুমে যাওয়া পর্যন্ত ইভিএমের ওপর নজর রাখতে হবে তাঁদের। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ক্ষেত্রে প্রতিটি গাড়িতে জিপিএস থাকতে হবে। বাড়াতে হবে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনে সিল করার পর রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনেই সেই সিল খুলতে হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে এবং ভোট হয়ে গেলে একইরকমভাবে নিরাপত্তা দিয়ে ইভিএম স্ট্রংরুমে পৌঁছাতে হবে। নির্বাচন কমিশন অসমের ঘটনার জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট ছিল অসমে। সেখানে এক বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি থেকে পাওয়া যায় ভোট হওয়া ইভিএম। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার জেরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়, তৈরি হয় বিতর্ক। শেষপর্যন্ত বিবৃতি জারি করে কমিশন। তাতে সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসার এবং তিন ভোট আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। একটি বুথে পুনঃনির্বাচনের নির্দেশও দেওয়া হয়।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ইভিএম নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল কমিশন। বৈদ্যুতিন যন্ত্র বাতিল করে ফের ব্যালটে ভোট হোক, এমন দাবিও তুলেছিল বিরোধীরা। ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেসব উড়িয়ে ইভিএমকে আগেই ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, ইভিএম হ্যাক হতে পারে। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কমিশন। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ইভিএম হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়। যদিও ইভিএম নিয়ে এখনও নিঃসংশয় নন সাধারণ মানুষের একটা বড়ো অংশ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।