কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামীকাল ভারত বনধের ডাক, দ্বারভাঙ্গায় কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত

কৃষি আইনের প্রতিবাদে কাল দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। গত ৪ মাস ধরে দিল্লি সীমান্তের রাস্তায় বসে কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন দেশের কৃষকরা। কিন্তু টনক নড়েনি সরকারের
বুধবার দ্বারভাঙ্গায় কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত
বুধবার দ্বারভাঙ্গায় কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতছবি এ আই কে এস ফেসবুক পেজের সৌজন্যে
Published on

কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামীকাল দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। গত ৪ মাস ধরে দিল্লি সীমান্তের রাস্তায় বসে এই কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছে দেশের কৃষকরা। কিন্তু টনক নড়েনি সরকারের। শুধু বনধ করেই থেমে থাকবেন না কৃষকরা। সামনেই দোল, তাই হোলিকা দহনে কৃষক বিরোধী কেন্দ্রের কৃষি আইন পোড়ানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে। শুধু কৃষকরাই নয়, ২৬ মার্চ ভারত বনধকে সফল করতে দেশের নাগরিকদেরও আবেদনও করা হয়েছে।

মোর্চার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, গত ৪ মাস ধরে সীমান্তে প্রতিবাদ আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। তাদের দাবা মেনে নেওয়া তো দূর, বরং সরকার তাদের ক্রমাগত অবহেলা করে চলেছে। শুক্রবার ডাকা ভারত বনধে সমস্ত রাস্তা, রেল, দোকান বন্ধ রাখা হবে। তবে যে সব জায়গায় নির্বাচন হতে চলেছে, সেখানে এই বনধের প্রভাব তেমন পড়বে না বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। ভাটগাঁও, সোনেপতে মশাল মিছিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। অশোক নগরে অল্প বয়সী আন্দোলনকারীরা রক্ত দিয়ে 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' স্লোগান লিখেছে। একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয় এখানে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ দেশের জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে দাঁড়িয়েছিল কৃষক সংগঠন। ১৯ মার্চ 'মান্ডি বাঁচাও খেতি বাঁচাও'-এর ডাক দেওয়া হয়েছিল। এবার হোলিকা দহনে ২৮ মার্চ পোড়ানো হবে নতুন কৃষি বিল।

গতকাল ভারত বনধের সমর্থনে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় এক বিশাল মহা পঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় পোলো ময়দানের এই সভায় বক্তব্য রাখেন এআইকেএস সভাপতি ডঃ অশোক ধাওয়ালে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক এন কে শুক্লা এবং বিহার রাজ্য সম্পাদক লালন চৌধুরী।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in