

স্বাধীনতা দিবসের পোস্টার থেকে সরানো হয়েছে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর মুখ। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এই ঘটনা কেন্দ্রের সংকীর্ণ মনের পরিচয় বলে তিনি মনে করেন।
সমস্যার সূত্রপাত স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ’-এর একটি পোস্টার ঘিরে। তাতে নেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মুখ। যদিও আছে সাভারকরের ছবি।
শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় ‘রোখঠোক’ নামে একটি কলাম লেখেন সঞ্জয় রাউত। সেখানেই তিনি ক্ষোভ উগরে বলেন, 'দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁদের কোনও অবদান নেই, তাঁরা স্বাধীনতার লড়াইয়ে শামিল এক নায়ককে সরিয়ে দিতে চাইছেন। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই করা হয়েছে। এটা একদমই ঠিক নয়। এর থেকে কেন্দ্রের সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। এটা দেশের প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান।'
তাঁর মতে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেহেরুর নীতির সঙ্গে মতবিরোধ থাকতেই পারে কারো। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেহেরুর অবদান অস্বীকার করা যায় না। সঞ্জয় লিখেছেন, নেহেরু কী করেছেন যে তাঁকে এত ঘৃণা করতে হবে? সত্যি বলতে, তাঁর তৈরি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করেই এখন ভারতীয় অর্থনীতি এগোনোর চেষ্টা করছে।
ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে সঞ্জয়ের বক্তব্য, 'দেশ গড়তে নেহেরু ও ইন্দিরা গান্ধীর অবদানকে আপনারা অস্বীকার করতে পারবেন না। যারা নেহেরুর অবদানকে স্বীকার করছে না, তাঁরা ইতিহাসের শত্রু।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন