

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর গত দশ বছরে এই প্রথম। দেশ জুড়ে মোদীর সমর্থন নামল ৫০ শতাংশের নীচে। অন্যদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে বেশ অনেকটাই। সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে।
'ইন্ডিয়া টুডে'র 'মুড অফ দ্য নেশন' ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগষ্টের মধ্যে দেশের মোট ৩৬ লক্ষ ৪৬৩ জনের মতামত নিয়েছে। কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড টেলিফোন সার্ভের (CATI)-এর মাধ্যমে আমজনতার মোট নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সি ভোটার সরাসরি আরও ৪০,৫৯১ জনের মত নিয়েছে।
ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কে, সেই প্রশ্নের উত্তরে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। ৭.৩ শতাংশ ভোট কমেছে তাঁর। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম মোদীর জনপ্রিয়তা ৫০ শতাংশের নীচে নামলো। রাহুলকে বেছে নিয়েছেন ৩২ শতাংশ ভোটদাতা। ৬ মাস আগের করা গত সমীক্ষায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন রাহুল। ৮ শতাংশের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
সমীক্ষা অনুযায়ী, লোকসভা ভোট এখন হলে বিজেপির ভোট ৩৮ শতাংশ থেকে কমে ৩৬.৬ শতাংশ হতে পারত। তবে তারা জিততে পারে ২৪৪টি আসনে। অন্য দিকে, কংগ্রেস পেতে পারে ১০৬টি। ৫৪৩টি লোকসভা ভোটের সব ক’টিতেই জনমত সংগ্রহ করা হয়েছিল ‘মুড অফ দ্য নেশন’ সমীক্ষায়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই মতামত সমীক্ষায় মোদী জমানায় সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহারের' অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ৪৬ শতাংশ ভোটদাতা। শেষ বার করা সমীক্ষায় এই হার ছিল ৪৩ শতাংশ। মাত্র ৩৮ শতাংশ ভোটদাতা মনে করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির এমন অপব্যবহার আগেও হয়েছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন