
ভারতীয় দেশপ্রেমিকরা যখন 'অব কি বার, ট্রাম্প সরকার' স্লোগান তুলেছিলেন, তখন তো কারো কোনো সমস্যা হয়নি। তাহলে রিহানা বা গ্রেটা থুনবার্গরা ভারতের কৃষকদের পাশে দাঁড়ালে, তাতে এতো ক্ষুব্ধ হচ্ছেন কেন সবাই? এই গোটা পৃথিবী একটা গ্রামের মত। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই সমালোচনা হোক না কেন তাতে আমরা ভীত হব কেন? বরং আত্মসমীক্ষা করা উচিত। নাম না করে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত প্রায় ৭৫ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহলেও সাড়া ফেলেছে এই আন্দোলন। মার্কিন পপ তারকা রিহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব কৃষকদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। এরপরই রিহানা-গ্রেটাদের ট্যুইটের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নেমেছেন শাসক দলের নেতারা। গ্রেটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ট্যুইট করেছেন অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, শচীন তেন্ডুলকারের মতো তারকারাও।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সেখানে গিয়ে 'অব কি বার, ট্রাম্প সরকার' স্লোগান তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বিষয়টিকে টেনে এনে অধীর চৌধুরী আজ নিজের ট্যুইটারে লেখেন, "আমাদের কয়েকজন দেশপ্রেমিক আমেরিকায় গিয়ে "অব কি বার, ট্রাম্প সরকার" স্লোগান তুলেছিলেন, এর মানে কী? জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস হত্যকান্ড নিয়ে যখন আমরা সমস্বরে প্রতিবাদ করেছিলাম, কেউ তো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি, কিন্তু এখন যখন রিহানা, থুনবার্গরা আমাদের দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আমরা কেন এতো ক্ষুব্ধ হচ্ছি?"
এর পরের একটি ট্যুইটে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি আরও লেখেন, "আপনারা সকলেই আমাদের অন্নদাতাদের উৎপাদন করা খাবার খেয়ে বড় হয়েছেন। আপনাদের উচিত ছিল ভারতীয় কৃষকদের প্রতি সংহতি জানানো।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন