সাড়ে সাত বছর নির্যাতন সয়েছি: সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলার রায় ঘোষণার পর শশী থারুর

সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলার সমস্ত অভিযোগ থেকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে মুক্তি দিল দিল্লির একটি আদালত। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির এক অভিজাত হোটেল থেকে সুনন্দা পুষ্করের দেহ উদ্ধার করা হয়।
শশী থারুর
শশী থারুরফাইল ছবি ডেকান হেরাল্ডের সৌজন্যে
Published on

সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলার সমস্ত অভিযোগ থেকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে মুক্তি দিল দিল্লির একটি আদালত। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির এক অভিজাত হোটেল থেকে শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের দেহ উদ্ধার করা হয়।

কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং মারধরের অভিযোগ আনে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) এবং ৪৯৮এ (গার্হস্থ্য হিংসা) ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। আজ সাড়ে সাত বছর পর এই সমস্ত অভিযোগ থেকে ৬৫ বছর বয়সী শশী থারুরকে মুক্তি দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত।

এই রায় প্রকাশের পরই আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। সাড়ে সাত বছর ধরে নিরন্তর নির্যাতন সয়ে‌ গেছি। আমি সত‍্যিই এই রায়ের প্রশংসা করছি।"

এরপর এক দীর্ঘ বিবৃতিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, "আমার স্ত্রী সুনন্দার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর আমাকে ঘিরে থাকা দুঃস্বপ্নের একটি উল্লেখযোগ্য উপসংহার এই রায়। আমার বিরুদ্ধে ডজনখানেক ভিত্তিহীন অভিযোগ ছিল। আমি ধৈর্য্য ধরে সেগুলো কাটিয়ে এসেছি। মিডিয়ার অপমান সহ্য করেছি। বিচার ব‍্যবস্থার প্রতি আমার বিশ্বাসকে টিকিয়ে রেখেছি। আজ‌ আমি ন‍্যায় পেয়েছি।" এবার তাঁর পরিবার শান্তিতে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর শোক পালন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।

মিঃ থারুর জানিয়েছেন, বর্তমান বিচারব‍্যবস্থায় এই পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় শাস্তির সমানই ছিল। তিনি নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতকে জানিয়েছিলেন, ৫১ বছর বয়সী সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু হত‍্যা বা আত্মহত্যা কোনোটাই নয়। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু, সমস্ত প্রমাণ সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।

২০১০ সালে শশী থারুর ও সুনন্দা পুষ্করের বিয়ে হয়। সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর কিছু আগে দু'জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সুনন্দার করা শেষ দুটি ট‍্যুইট তার প্রমাণ। যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের সাথে সম্পর্ক রয়েছে শশী থারুরের। এরপরই দিল্লির একটি হোটেল থেকে সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সাংসদ জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি সংস্কারের কাজ চলছিল, তাই তাঁর স্ত্রী হোটেলে ছিলেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in