
দিল্লি এইমস দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এই ঠান্ডায় সেই এইমসের বাইরের ফুটপাথ ও সাবওয়েতে রাত কাটাচ্ছেন শত শত রোগী। সম্প্রতি এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এবার এই পরিস্থিতিকে ‘মানবিক সংকট’ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ। এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাহুল।
গত ১৮ জানুয়ারি জেপি নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, এই পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেশে নতুন তৈরি হওয়া এইমস হাসপাতালগুলোকে দ্রুত চালু করুন। এছাড়া রাজ্য সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে পাবলিক হেলথ কেয়ার পরিকাঠামো সব স্তরে শক্তিশালী করা উচিত।''
চিঠিতে রাহুল আরও লিখেছেন, “আয়ুষ্মান ভারত-এর মতো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলির আওতায় যতটা সম্ভব চিকিৎসা ব্যয় কমানোর জন্য পর্যালোচনা করা উচিত। আমি আশা করি সরকার তার আসন্ন বাজেটে সামগ্রিক পদ্ধতির পর্যালোচনা করবে এবং জনস্বাস্থ্য পরিচর্যায় বিনিয়োগ বাড়াবে”।
এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে তিনি চিঠি দিয়ে লিখেছেন, “তীব্র ঠান্ডায় হাসপাতালের বাইরে এবং সাবওয়েতে অসংখ্য রোগীকে কেবল একটি পাতলা চাদর গায়ে জড়িয়ে বসে থাকতে দেখে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কোনও রকম পানীয় জল বা স্যানিটেশনের সুবিধা নেই। অবিলম্বে তাৎক্ষণিক এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে রোগীদের জন্য বিছানা, জল এবং আশ্রয় সরবরাহ করা যায়। স্থায়ী সমাধানের জন্য বিকল্পগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্রিত হয়ে এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে।''
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী দিল্লি এইমসের বাইরে এবং আশেপাশে রাস্তায় ক্যাম্প করা বেশ কয়েকজন রোগী এবং তাঁদের পরিবারজনের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় তিনি কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন। রাহুলের অভিযোগ, বেশিরভাগ রোগী এবং তাঁদের পরিবার দিল্লি এইমসে চিকিৎসা করতে এসে জায়গার অভাবে এই ঠাণ্ডার মধ্যেই রাস্তায় ক্যাম্প করে থাকেন। রোগীদের রাস্তায় থাকার ভিডিও নিজের এক্সে শেয়ার করেছিলেন রাহুল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন