

নিজের কর্পোরেট বন্ধুদের ওপর ভার কমাতে গিয়ে সেই বোঝা চাপিয়েছেন সাধারণ মানুষের ওপর। কর্পোরেট সংস্থায় কর কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয় কমে গিয়েছে অনেকটাই। তাই পেট্রোল-ডিজেলের শুল্ক বাড়িয়ে কর আদায় করা হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন আমজনতা। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হল কংগ্রেস। কর্পোরেট কর শুধু শিল্প সংস্থাকেই দিতে হয়। কিন্তু পেট্রোল-ডিজেলের কর গরিব-ধনী সবার ওপরেই বর্তায়।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ইউপিএ জমানার তেল-বন্ডে সুদ মেটাতে হচ্ছে। ফলে সরকারের পক্ষে পেট্রোল-ডিজেলের শুল্ক কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তার জেরে পেট্রোলের দাম কমছে না। কংগ্রেসের যুক্তি, গত সাত বছরে মোদি আমলে পেট্রোল-ডিজেলের শুল্ক থেকে আয় হয় ২২.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু তা থেকে মাত্র ৭৩,৪৪০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে তেল-বন্ডের সুদ মেটাতে।
২০১৯-এ কর্পোরেট করের হার কমান মোদি সরকার। ২০১৮-১৯-এ ৬.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা, ২০২০-২১-এ ৪.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট আয় হয়। ফলে দুবছরে আয় কমে প্রায় দু'লক্ষ কোটি টাকা। সেই লোকসানই পেট্রোল-ডিজেল থেকে কর আদায় করে মেটাতে হচ্ছে। মোদি সরকারের প্রথম বছরে তেল থেকে কর আদায় হয় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২১-এ ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা। অন্য দিকে, ইউপিএ-সরকারের শেষ বছরে জ্বালানিতে ভর্তুকির পরিমাণ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২০-২১-এ তা কমে হয়েছে মাত্র ১২ হাজার কোটি টাকা।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ‘ইউপিএ সরকার তেলে ভর্তুকি দিত। সেই টাকা জোগাড় করার জন্যেই তেল সংস্থাগুলিকে বন্ড ছাড়তে হয়েছে। মোদি সরকার বিপুল পরিমাণে কর আদায় করেছে পাশাপাশি ভর্তুকিও কমিয়েছে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন