
কেরালায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের মোট দৈনিক সংক্রমণের অধিকাংশই কেরালাতে। তা সত্ত্বেও রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের বিপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সম্পূর্ণ লকডাউন অর্থনীতি ও জীবনজীবিকাতে তীব্র সঙ্কট সৃষ্টি করবে। তার পরিবর্তে সোশ্যাল ইমিউনিটি গড়ে তুলতে জোর দিচ্ছেন তিনি।
লোকাল বডি অফিসারদের সাথে কথোপকথনকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যব্যাপী লকডাউন সিস্টেমকে কেউ সমর্থন করে না। এটি অর্থনীতি ও জীবিকার জন্য বিশাল সঙ্কট তৈরি করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের সোশ্যাল ইমিউনিটি গড়ে তুলতে হবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। সাবধানতার সাথে কোনো আপোষ করা উচিত নয়।"
কোভিড প্রতিরোধের জন্য সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এবং বাসিন্দাদের সংগঠন নিয়ে নেইবারহুড মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "লোকাল কেয়ার হলো সর্বাধিক। নেইবারহুড মনিটরিং কমিটি, র্যাপিড রেসপন্স টিম, ওয়ার্ড লেভেল কমিটি, পুলিশ এবং সেক্টরাল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা উচিত। প্রতিটি এলাকায় করোনার প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত। প্রত্যেক পজেটিভ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রেখে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত। করোনার প্রথম ঢেউয়ে লোকাল বডি, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি অফিসাররা যেভাবে সক্রিয় ছিলেন, যদি আবার সেভাবে সক্রিয় হন, তাহলে খুব শীঘ্রই আমরা আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো।"
বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন তিনি। বাড়ির বাইরে বেরোলে তাঁদের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলোতে ওষুধ, প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ, নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্ব ওয়ার্ড লেভেল কমিটি সহ বিভিন্ন কমিটিকে করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী শেষ ২৪ ঘন্টায় কেরালায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৩২২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। রাজ্যে এইমুহুর্তে সক্রিয় কেস ২ লক্ষ ৪৬ হাজার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন