দেশজুড়ে যখন কোভিড ওষুধের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তখন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর সহ একাধিক রাজনীতিবিদ কীভাবে এই ওষুধ কিনে জনগণকে বিতরণ করেছেন, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোলারকে এই বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘী এবং জসমীত সিংয়ের বেঞ্চ জানায়, গোটা দেশে যখন ফ্যাবিফ্লু-র তীব্র ঘাটতি দেখা গিয়েছে, তখন একজন ব্যক্তি কিভাবে দুই হাজারেরও বেশি স্ট্রিপ সংগ্রহ করতে পারেন ড্রাগ কন্ট্রোলারের অবশ্যই তা তদন্ত করে দেখা উচিত। ওষুধ দোকানিও কিভাবে এরকম কোনো প্রেসক্রিপশনে অনুমোদন দিতে পারেন, তাও তদন্ত করে দেখতে হবে।
এরপর সরাসরি বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের নাম নিয়ে বেঞ্চ বলে, "গৌতম গম্ভীর নিশ্চয় ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজটি করেছিলেন। ওনার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সন্দেহ করছি না। আমাদের দেশের জাতীয় খেলোয়াড় ছিলেন উনি। আমাদের প্রশ্ন কেবল, গোটা দেশে যখন এই ওষুধের তীব্র ঘাটতি দেখা গিয়েছে, সেইসময় এরকম কাজ করে উনি কি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেন? ওনার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সন্দেহ করছি না, তবে যে পদ্ধতিতে উনি কাজটা করেছেন, তাতে আসলে জনগণের ক্ষতি করেছেন উনি। হয়তো অজান্তেই করেছেন, কিন্তু ক্ষতিই করেছেন। এভাবে বাজার থেকে একসাথে এতগুলো স্ট্রিপ কিনতে পারেন না আপনি, নিশ্চিতভাবে পারেন না।"
রাজনীতিবিদরা প্রচুর পরিমাণে কোভিড ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করে রেখেছেন, এই অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে FIR করতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই তালিকায় আপ বিধায়ক প্রীতি তোমার ও প্রভীন কুমারের নামও রয়েছে। মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুতের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ড্রাগ কন্ট্রোলারকে এই নিয়েও তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।