Kanpur: পণ না মেলায় বধূকে ঘরে আটকে বিষধর সাপ ছেড়ে দিলেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা! দায়ের মামলা

People's Reporter: গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে ঘরে বন্দি করে বিষধর সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি সাপ ছোবল মারার পরও দরজা খোলা হয়নি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে কানপুরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
Kanpur: পণ না মেলায় বধূকে ঘরে আটকে বিষধর সাপ ছেড়ে দিলেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা! দায়ের মামলা
প্রতীকী ছবি, সংগৃহীত
Published on

পণের দাবিতে বন্ধ ঘরের মধ্যে বিষধর সাপ ছেড়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা! সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলেছেন কানপুরের এক গৃহবধূ। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই গৃহবধূর অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে একটি ঘরে বন্দি করা হয়। এরপর ঘরের একটি বিষধর সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি সাপ ছোবল মারার পরও দরজা খোলেননি তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে কানপুরের সরকারি উরসালা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। অ্যান্টি-ভেনম চিকিৎসা চলছে।

কর্নেল গঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক বিনীত কুমার জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। চিকিৎসকদের কথায়, আহত মহিলার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও তিনি এখনও সঙ্কট মুক্ত নন।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে অভিযোগকারিণীর দিদি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মার্চে বিয়ে হয় তাঁর বোনের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পাঁচ লক্ষ টাকার পণের দাবি জানাতে থাকেন। এমনকি, একাধিকবার শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে ঘর নির্মাণের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দাবি করা হলে গৃহবধূর বাবা-মা সেই অর্থ দেন। কিন্তু তাতেও শান্ত হননি শ্বশুরবাড়ির লোক। আবার টাকা চাইলে মেয়েটির বাবা-মা তা দিতে অস্বীকার করেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মেয়েটিকে আলাদা ঘরে শোয়ায় এবং তাঁর শিশু কন্যাকে সাথে করে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে তাঁকে ঘরের ভিতরেই রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে একটি বিষধর সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপের ছোবলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটি দিদিকে ফোন করে খবর দেন। পরে তাঁর দিদি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in