

"যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। যেভাবেই হোক না কেন হাসপাতালগুলিকে তার বরাদ্দ কোটার পুরো অক্সিজেন দিতে হবে।" রাজধানীতে অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রকে এভাবেই ভর্ৎসনা করলো দিল্লি হাইকোর্ট। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কীভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করছে সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে একথা বললো আদালত।
শনিবার দুপুরেই দিল্লির বাত্রা হাসপাতালে প্রায় ৮০ মিনিট অক্সিজেনের যোগান ছিল না। এর জেরে এক চিকিৎসক সহ ৮ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে দিল্লি হাইকোর্ট বলে, "জল মাথার উপরে চলে গিয়েছে। আপনাদের এখনই সবকিছুর ব্যবস্থা করতে হবে। আপনারাই এই বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন, আপনাদেরকেই তা পূরণ করতে হবে। আট জনের প্রাণ চলে গিয়েছে। আমরা আর চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না।"
আদালত আরও বলে, "আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি, যে কোনো উপায়েই হোক দিল্লিকে আজই ৪৯০ মেট্রিকটন অক্সিজেন দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থাও কেন্দ্রকেই করতে হবে। ২০ এপ্রিল এই বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত একদিনও দিল্লি তার বরাদ্দ অক্সিজেন পায়নি। আজও যদি এই নির্দেশের বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়েরের বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করবো আমরা।"
শুনানি চলাকালীন উপস্থিত কেন্দ্রের আধিকারিকরা হাইকোর্টের এই মন্তব্যের উত্তর দিতে চাইলে তাঁদের থামিয়ে দিয়ে আদালত বলে, "যথেষ্ট হয়েছে। বরাদ্দের চেয়ে বেশি কেউ কিছু চাইছে না। আজকে যদি আপনারা এই বরাদ্দ সরবরাহ করতে না পারেন, সোমবার আমরা আপনাদের ব্যাখ্যা শুনব।" ইতিমধ্যেই বাত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন