

সর্বধর্মে সমন্বয়ই ভারতের ঐতিহ্য। অথচ বর্তমানে ধর্মীয় হানাহানির খবর প্রায়শয়ই শিরোনামে চলে আসে। তবে সেগুলি যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয় তা প্রমাণ করে দিলেন কেরলের চিকিৎসক রেখা কৃষ্ণা। মৃত্যু পথযাত্রী এক মুসলমান করোনা রোগীকে অন্তিম প্রার্থনা শোনালেন তিনি।
দিনকয়েক আগে কেরলের পলাক্করের পতম্বির সেবানা হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি হন করোনা আক্রান্ত ৫২ বছরের এক মুসলমান মহিলা বিভাথু। ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক রেখা কৃষ্ণা। তিনিই ওই মহিলার চিকিৎসা করছিলেন। চিকিৎসক বুঝতে পারছিলেন ওই করোনা রোগীকে কোনওভাবেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। পরিজনদেরও সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। যেহেতু করোনা আক্রান্ত তাই ওই মহিলার সঙ্গে পরিজনদের কেউই দেখা করতে পারছিলেন না। এদিকে, একদিন রেখা বুঝতে পারেন রোগীর নাড়ির স্পন্দন ধীর হচ্ছে। ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতেও পারছেন না।
সেই সময় মৃত্যুপথযাত্রী ওই রোগীকে অন্তিম প্রার্থনা শোনান ওই চিকিৎসক। রেখা বলেন, 'আমার দুবাইতে বেড়ে ওঠা। তাই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আমি অল্পবিস্তর জানি।' সে কারণেই মৃত্যুপথযাত্রী করোনা রোগীকে অন্তিম প্রার্থনা শোনাতে পেরেছিলেন ওই চিকিৎসক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত দেশ। সংক্রামক এই রোগ থেকে বাঁচতে আক্রান্তদের থাকতে হচ্ছে নিভৃতবাসে। সেক্ষেত্রে কিছুদিনের জন্য হলেও পরিজনদের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। মৃত্যুপথযাত্রীর সঙ্গেও শেষ দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজনেরা। সেই সময় চিকিৎসকরাই একমাত্র ভরসা রোগীদের। তাই মুসলিম রোগীর জীবনের শেষ মুহূর্তে ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু চিকিৎসকের এহেন আচরণ যে যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন