Himachal Pradesh: সিমলা পুরসভা নির্বাচনের মুখে হিমাচল প্রদেশে বিজেপি রাজ্য সভাপতির ইস্তফা

‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুরেশ কাশ্যপ। জে পি নাড্ডাকে লেখা চিঠিতেও তিনি সেই কারণই দেখিয়েছেন। তাঁর ইস্তফার পর রাজ্য বিজেপিতে বড়োসড়ো পরিবর্তন করা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি সাংসদ সুরেশ কাশ্যপ
বিজেপি সাংসদ সুরেশ কাশ্যপফাইল ছবি, দ্য ট্রিবিউন-এর সৌজন্যে

বিজেপি-র হিমাচল প্রদেশের সভাপতি সুরেশ কাশ্যপ তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। সূত্র অনুসারে, তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনের মুখে তাঁর ইস্তফা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২ মে সিমলা পুরসভার নির্বাচন।

জানা গেছে, ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুরেশ কাশ্যপ। জে পি নাড্ডাকে লেখা চিঠিতেও তিনি সেই কারণই দেখিয়েছেন। কাশ্যপের ইস্তফার পর হিমাচল প্রদেশের বিজেপিতে বড়োসড়ো পরিবর্তন করা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর নতুন করে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। আগামীবছরেই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের আগে হিমাচল প্রদেশের সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছে বিজেপি।

পদত্যাগী বিজেপি সভাপতি সুরেশ কাশ্যপ হিমাচল প্রদেশের সিমলা কেন্দ্রের সাংসদ। আগামী ২০২৪ নির্বাচনে তাঁকে আবার মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলেও অনুমান।

যদিও রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদে একেবারেই ব্যর্থ সুরেশ কাশ্যপ। ২০২০ সালের ২২ জুলাই তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবার পরেই নভেম্বর ২০২১ সালে মান্ডি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হয়। পরাজিত হয় আরকি, ফতেপুর এবং জুব্বল-কোথাকি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও।

সুরেশ কাশ্যপের ইস্তফার পর রাজ্য সভাপতি হিসেবে যেসব নাম উঠে আসছে তার মধ্যে আছেন উনার বিধায়ক সতপাল সিং, প্রাক্তন স্পীকার এবং সুলার বিধায়ক বিপিন পারমার, নৈনাদেবী-র বিধায়ক রণধীর শর্মা, নাহানের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বিন্দাল। এছাড়াও রাজ্যসভা সাংসদ সিকান্দার কুমার এবং ইন্দু গোস্বামীর নামও বিবেচনায় আছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in