
বিধায়কপদ খারিজ হতে পারে হেমন্ত সোরেনের। তবে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে সমস্যা হবে না তাঁর। শুক্রবার, রাজনৈতিক মহলে এমনই জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনে শীঘ্রই হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ করতে পারেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। আর, তা হলে- হেমন্ত সোরেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? এ নিয়ে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা যাচ্ছে, বিধায়কপদ হারালেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকতে পারবেন হেমন্ত সোরেন। কারণ, এই পদে থাকার জন্য এখনই তাঁর জন্য বিধায়ক হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
তবে, সংবিধানের ১০ তফসিল অনুযায়ী যদি তাঁর বিধাপদ খারিজ হয়, সেক্ষেত্রে আইনসভার সদস্য হিসাবে পুনঃনির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রীপদ আঁকড়ে থাকতে পারবেন না হেমন্ত।
এসময়, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসকে অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে। আর আগামী ৬ মাসের মধ্যে সোরেনের শূন্য আসনে উপনির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। সেসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সোরেন। তারপরে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) ও জোটসঙ্গী কংগ্রেস সহ অন্যান্যদের হেমন্তকে আবার মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য জোটের নেতা নির্বাচিত করতে হবে।
আবার, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পাশাপাশি যদি স্বার্থের সংঘাতের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন সোরেন, সেক্ষেত্রে আগামী ৫ বছরের জন্য নির্বাচনে তিনি লড়াই করতে পারবেন না। তবে, আদালতের দারস্থ হওয়ারও সুযোগ থাকছে। নিজের অযোগ্যতার বিরুদ্ধে আদালতে সওয়াল করতে পারেন সোরেন।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে জোটসঙ্গীদের মধ্যে অস্তিরতা দেখা দিতে পারে। তাঁদেরকে শান্ত করার জন্য ভাবতে হবে সোরেনের দলকে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে তিন JMM বিধায়ক কয়েক লক্ষ টাকা সহ ধরা পড়ার পর অভিযোগ উঠেছে যে, সোরেনের সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি।
তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য এই মুহূর্তে হেমন্ত সোরেন ভালো অবস্থানে রয়েছেন। ৮২ আসনের বিধানসভায় JMM-এর ৩০ জন ও কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক রয়েছে। ছোট দলগুলির সমর্থন রয়েছে JMM-এর কাছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন