

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। প্রায় চারমাস পরে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল এই মামলার শুনানি। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজার পর আগামী ডিসেম্বর মাসে এই মামলার শুনানি হবে।
সোমবার বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, দুর্গাপুজোর আগে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল।
শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি জানান, এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন। এরপরেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পরে এই বিষয়ে শুনানি হবে। শুনানির জন্য মাস ঠিক হলেও দিন পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর প্রথম সুপ্রিম কোর্টে ওঠে ডিএ মামলা। গত বছর ৩ নভেম্বর দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু তখনও কিছু হয়নি। তার আগে দশ বার এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে, কিন্তু কোনওবারই শুনানি হয়নি।
কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। ২০২২ সালের ২০ মে আদালত রাজ্যকে কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যে আবেদন ছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই মুহূর্তে ওই আর্থিক বোঝা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন