

উনি প্রধানমন্ত্রী কোথায়? উনি তো কেবলই দলের প্রচারক। দেশে করোনা পরিস্থিতি মহামারীর আকার ধারণ করেছে। মহারাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেও ব্যবস্থা করা যায়নি। তিনি ব্যস্ত বাংলার ভোট প্রচারে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনায়। আর তিনি জনসমাবেশে ভিড় বাড়িয়ে সংক্রমণ বাড়াতে সাহায্য করছেন। নরেন্দ্র মোদি একজন সংকীর্ণমনা দলীয় প্রচারক। কোনওভাবেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নন। রবিবার এভাবেই সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন।
প্রসঙ্গত, অক্সিজেন, রেমডিসিভিয়ারের সংকট দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরিকালীন ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যদিও তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি কারণ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। এই ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ঠাকরে নিজে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সারাদেশে তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ইয়েচুরি বলেন, আমরা ভারতীয়রা এই মুহূর্তে মহামারীতে ভুগছি। কিন্তু আমাদের কোনও কেন্দ্রীয় সরকার নেই। আছে জনসংযোগ সংস্থা। তাদের একজন প্রচারক আছেন, যিনি কিনা জনসমাবেশ করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। দলীয় প্রচারক হয়ে নিজের ভূমিকা পালন করার পর কিছুটা সময় পেলে তখন তিনি টিভির ছবি, খবরের শিরোনাম হওয়ার জন্য টুকটাক কিছু কাজ করে থাকেন।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যুদ্ধের মতোই ভয়াবহ বলে প্রাক্তন সেনাপ্রধান বেদ মালিকও উল্লেখ করেছেন। টুইট করে এমনটাই জানান ইয়েচুরি। তাঁর প্রশ্ন, মোদির সভা দেশের মানুষের প্রাণের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? তাঁর আর্জি, নির্বাচনী সমাবেশ বন্ধ করুন। মোদির ব্যক্তিগত ট্রাস্টের তহবিলের টাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ছাড়ুন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন