ফের শিরোনামে হাথরস - যৌন নির্যাতন কাণ্ডে জামিনে মুক্ত ব্যক্তির হাতে খুন নির্যাতিতার বাবা

পুলিশ থানার বাইরে নির্যাতিতা
পুলিশ থানার বাইরে নির্যাতিতাছবি ট্যুইটার ভিডিও থেকে সংগৃহীত
Published on

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পাওয়া এক আসামী গুলি করে খুন করলো এক ব্যক্তিকে। জানা গেছে, যে পরিবার থেকে তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিলো সেই নির্যাতিতার বাবাকেই তিনি খুন করেন। সোমবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে।

হাথরস পুলিশের বক্তব্য অনুসারে, শাসনি পুলিশ থানার নজরপুর গ্রামে এক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ২০১৮ সালে জেল হয় অভিযুক্ত গৌরব শর্মার। এর কয়েকমাস পর তিনি জামিন পেয়ে যান এবং তখন থেকে বাইরেই আছেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে গৌরব শর্মার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন নির্যাতিতা মহিলার বাবা।

হাথরস পুলিশ প্রধান বিনীত জয়সোয়াল ট্যুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন – গতকাল এক মন্দিরে মুখোমুখি হয়ে যান এই দুই ব্যক্তি। সেখানেই তাদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এরপর নিজের কিছু বন্ধুবান্ধবকে ডেকে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত গৌরব শর্মা এবং নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গৌরব শর্মার পরিবারের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের করা ভিডিওতে দেখা গেছে – স্থানীয় থানার বাইরে নির্যাতিতা ঘটনার বিচার চাইছেন এবং বলছেন প্রথমে ওই ব্যক্তি আমাকে যৌন হেনস্থা করেছিলো এবার আমার বাবাকে হত্যা করলো। আমি এর বিচার চাই।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে যোগী রাজ্যের হাথরস। গত সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৮ বছরের এক দলিত তরুণীকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে চার তথাকথিত উচ্চবর্ণের ব‍্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর জিভ কেটে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর মারা যান ওই তরুণী। নির্যাতিতার পরিবারকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে রাতের অন্ধকারেই তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ দাহ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধীদের আড়াল করার অভিযোগও উঠে। ক্ষোভের মুখে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in