করোনা বলে আসলে কিছু নেই। গ্রামে তৈরি 5G টাওয়ারই আসলে রাক্ষস। সেই রাক্ষসের জন্যই গ্রামে মৃত্যু মিছিল চলছে। শুধু তাই নয়, কাঠগড়ায় রয়েছে করোনার টিকাও। ঘটনাস্থল হরিয়ানার তিতোলি। সেখানে গত ৪০ দিনে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের শরীরে যে উপসর্গ ছিল, সেসবের সঙ্গে মিলে যায় করোনার সংক্রমণের লক্ষণ। কিন্তু ওই গ্রামের কেউই করোনা সম্পর্কে ততটা ওয়াকিবহাল নন। উপরন্তু তাঁরা অভিযোগ করছেন 5G টাওয়ার এবং টিকাকরণকে।
এই গ্রামে গত দেড় মাসে এমন অনেকেই মারা গিয়েছেন, যাঁরা প্রচণ্ড জ্বর, বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন। গ্রামের বাসিন্দা ৯৪ বছরের উমে সিং ‘রাক্ষুসে’ টাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওটা টাওয়ার নয়। আস্ত শয়তান। ওটার থেকেই ভয়ানক সব ভাইরাস বেরিয়ে এসে লোকদের মেরে ফেলছে। যে যাই বলুক, আমি মনে করি আসল কালপ্রিট ওই টাওয়ারই।’ আর এক বাসিন্দা রানির স্বামী প্রচণ্ড জ্বরে ভুগে মারা গিয়েছেন। তিনি জানান, স্বামীর মৃত্যুর দিন প্রচণ্ড জোরে হাওয়া দিচ্ছিল। সেই হাওয়াতেই ভেসে আসা ভাইরাস তাঁর স্বামীর জীবন কেড়ে নিয়েছে! এমন গুজব ছড়িয়ে রয়েছে রোহতকের এই গ্রামে।
তেমন ভাবে সচেতনতার প্রচার না হওয়ায় ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার। ওই গ্রামের মানুষদের আবেদন, শিগগিরি এই 5G টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হোক। এক বাসিন্দা জানান, তাঁরা টাওয়ারের প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জেরে টাওয়ার বন্ধ ছিল। ওইদিন গ্রামে কেউ মারা যাননি। কিন্তু টাওয়ার ফের চালু হতে একই দিনে ৯ জন মারা যান।
টিকা প্রসঙ্গে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ অনেক। এক বাসিন্দা ওম প্রকাশের কথায়, যে টিকা নিচ্ছে, সেই মরে যাচ্ছে। এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিলেন। নিতেই মরে গেলেন। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ভুল ধারণা দূর করতে কড়া পদক্ষেপ করছে। সচেতনতা বাড়াতে এবং সকলকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বোঝানোর উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি কোভিডবিধি ঠিকমতো মানার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।