
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে হরিয়ানার কৃষকরা প্রথম থেকেই সরব ছিলেন। কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরাই। বিজেপি সরকারকে বয়কট করার পথেও হেঁটেছেন। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁদের দমন করতে পারেনি বিজেপি সরকার। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি, সেই পরিস্থিতিতে অনেক সতর্কভাবে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু তা না করে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার যে মন্তব্য করেছেন কৃষকদের ক্ষোভ তো কমবে না, উপরন্ত বাড়বে।
তাঁর দাবি, কৃষকদের বিক্ষোভের ফলে স্থানীয় একাধিক গ্রাম করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখা আর্জি জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের আন্দোলনে বসার কথা বলা হয় তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে কৃষক নেতারা মনে করছেন, দেশজুড়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুমিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ বিজেপি এবার সংক্রমণের দায় কৃষক বিক্ষোভের ঘাড়ে চাপিয়ে কৃষকদের আন্দোলনকে কালি মাখাতে চাইছে। অথচ লক্ষ লক্ষ মানুষ কুম্ভ স্নানে গিয়েছিলেন। তাতে কোনই নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি বিজেপি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছয়। কুম্ভফেরত লোকেদের মাধ্যমে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে। তার সঙ্গে আছে সরকারি অব্যবস্থা। এসব থেকে নজর ঘোরাতেই এখন কৃষকদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষক নেতাদের। তাঁদের দাবি, তাঁরা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অবস্থান করছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন