রোহতকে পুলিশি লাঠিচার্জে আহত কৃষক
রোহতকে পুলিশি লাঠিচার্জে আহত কৃষকছবি কল্লোল ভট্টাচার্যর ট্যুইটের সৌজন্যে

ফের কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাট্টার - বিক্ষোভ হটাতে লাঠিচার্জ

শনিবার রোহতাকে বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাডের স্থান পরিবর্তন করতে হয়। লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল পুলিশ। তাতে বেশ কিছু পুলিশ ও কৃষক আহত হন।
Published on

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার আবারও কৃষক বিক্ষোভের মুখোমুখি হলেন। শনিবার রোহতাকে বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাডের স্থান পরিবর্তন করতে হয়। লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল পুলিশ। তাতে বেশ কিছু পুলিশ ও কৃষক আহত হন।

মনোহর লাল খাট্টারের হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে। কিন্তু কৃষকরা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকে দল বেঁধে। একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে পুলিশ কৃষকদের আটকে দিলে, সেখানেই সংঘর্ষ বাধে। নিরাপত্তার কারণে ঝুঁকি না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার রোহতাক পুলিশ ফাঁড়িতেই নামে।

সম্প্রতি রোহতাকের সাংসদ অরবিন্দ শর্মার বাবার জীবনাবসান হওয়ায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়বেন, তা বোধয় টের পাননি। কৃষক বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালাকেও।

পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যেয় কৃষকরা ঝিন্দ জেলার হাইওয়ে অবরোধ করেন। গ্রেফতার হওয়া হিসারের কৃষক নেতা রবি আজাদকে মুক্তির দাবিতে চলে বিক্ষোভ। অবরোধ প্রত্যাহার করার জন্য কৃষকদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ পথচারীদের ঝিন্দ হাইওয়ের বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। রোহতাকে কৃষকদের পুলিশের লাঠিচার্জকে নিন্দা করেছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা।

বিবৃতিতে সংযুক্ত কিসান মোর্চা জানিয়েছে, “বিনা প্ররোচনায় বয়স্ক কৃষকদের উপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছে”।

প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় বিজেপি-জেজেপি নেতারা বেশ বেকায়দায় পড়েছে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ দেক্ষাচ্ছেন কৃষকরা। বিজেপি- জেজেপি নেতারা একাধিকবার কৃষক বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছেন। এমনকি জেজেপি-র কিছু বিধায়কও কৃষি আইন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কৃষকদের সমর্থন করেছেন প্রকাশ্যে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in