গুজরাটে ১০০ দিনের কাজে স্কুল ছাত্রছাত্রীরা! রয়েছে জব কার্ড-ব্যাঙ্ক আকাউন্ট, পেয়েছে মজুরিও

স্কুল ছাত্রছাত্রীদের নামে জব কার্ড ইস্যু হওয়ার খবর জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। গ্রাম রোজগার সেবককে (GRS) বরখাস্ত করেছেন জেলা উন্নয়ন আধিকারিক।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

কেন্দ্রীয় প্রকল্প MGNREGA বা ১০০ দিনের কাজে নাম নথিভুক্ত হয়েছে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের! এমনকি, জব কার্ড ইস্যু থেকে শুরু করে তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক আকাউন্ট খোলাও হয়েছে। এমনই, চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের ছোটোদেপুর জেলায় (Gujarat's Chhotaudepur district)।

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্ম সুনিশ্চিত আইন (Mahatma Gandhi National Rural Employment Guarantee Act) বা সংক্ষেপে MGNREGA একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প। সেখানে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের নামে জব কার্ড ইস্যু হওয়ার খবর জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। গ্রাম রোজগার সেবককে (GRS) বরখাস্ত করেছেন জেলা উন্নয়ন আধিকারিক। কুকর্দা গ্রামের সরপঞ্চ (Sarpanch) এবং তালাটি (Talati)-কে নোটিশ জারি করেছে প্রশাসন।

জেলা উন্নয়ন আধিকারিক গঙ্গা সিং IANS-কে জানিয়েছেন, গ্রাম রোজগার সেবক (GRS) লালজি দুঙ্গারবিল (Lalji Dungarbhil) স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নামে চারটি জব কার্ড ইস্যু করেছেন। তাঁকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, 'গ্রামের সরপঞ্চ এবং তালাটিকে নোটিশ জারি করা হয়েছে। উভয়কেই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। যদি তাঁরা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এদিকে, কুকর্দা গ্রামের সরপঞ্চ গৌনাবেন আম্বালাল ডুঙ্গারভিলের স্বামী আম্বালাল IANS-কে বলেন, 'আমার স্ত্রী নিরক্ষর, তাই সে যাচাই না করেই GRS লালজি দুঙ্গারবিলির তৈরি জব কার্ডের তালিকায় স্বাক্ষর করেছিলেন। ওই সময়, লালজি ফটো সহ জব কার্ড দেখাননি।' তিনি দাবি করেন, এ জন্য তাঁর স্ত্রী দায়ী নন।

তিনি বলেন, 'আমি অন্য গ্রামের স্কুল ছাত্রছাত্রীদের নামে ৩ টি জব কার্ড হবার বিষয়ে জানতে পেরেছি। একটি ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং দু'জন মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার (Bank of Baroda) তানাখলা গ্রাম শাখায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তাঁদেরকে ২৫-২৬ দিনের মজুরিও প্রদান করা হয়েছে।'

ওই শিশুদের অভিভাবক রা এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে মনে করা হচ্ছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in