Gujarat: গুজরাটে কালোবাজারে প্রচুর পরিমাণে নিম্নমানের মদ পাওয়া যায় - অভিযোগ আদিবাসী নেত্রীর

ভারতীয় উপজাতি পার্টির নেতা ছোটু ভাসাভার স্ত্রী সরলা অভিযোগ করেছেন, "স্থানীয় বাজারে নিম্নমানের মদ পাওয়া যায়। রাজ্যের উচিত হয় কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা নয়তো তা তুলে নেওয়া।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

গুজরাটে কালোবাজারে প্রচুর পরিমাণে নিম্নমানের মদ পাওয়া যায়। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মহিলা আদিবাসী নেত্রী সরলা ভাসাভা। নিজের করা অভিযোগের সঙ্গে তিনি দাবি তোলেন, হয় সরকার এই নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করুক অথবা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিক।

ভারতীয় উপজাতি পার্টির নেতা ছোটু ভাসাভার স্ত্রী সরলা অভিযোগ করেছেন, "স্থানীয় বাজারে নিম্নমানের মদ পাওয়া যায়। রাজ্যের উচিত হয় কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা নয়তো তা তুলে নেওয়া। যাতে যারা মদ্যপান করতে ভালোবাসেন তাদের কাছে অন্তত ভালো মানের মদ্যপান করতে পারেন।"

নর্মদা জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রমেশ ভাসাভা দাবি করেছেন, "আদিবাসীরা মহুয়া মদ তৈরি করে, কিন্তু তারা কখনই বাজারে বিক্রি করে না। আদিবাসী অঞ্চলে প্রচুর মদ পাওয়া যায় – এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজ্য সরকার কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করছে।"

যদিও বিজেপি নেতার বক্তব্যের উত্তরে কংগ্রেস বিধায়ক চন্দ্রিকাবেন বারিয়া জানিয়েছেন, তিনি যা বলছেন তা নতুন কিছু নয়। যদি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে শাসক দল কীভাবে অর্থ উপার্জন করবে? মদ চোরাচালান থেকে অর্থ সংগ্রহ না করলে তাদের নির্বাচনী তহবিলের অভাব হবে।

কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, প্রকাশ্যে বিক্রি হওয়া IMFL অন্যান্য রাজ্য থেকে পাচার করা হয়। বিজেপি গুজরাটের পাশাপাশি দিল্লিতে কেন্দ্রতে ক্ষমতায় রয়েছে। তবুও রাজ্যে কোনও বাধা ছাড়াই মদ চলে আসে।

কংগ্রেস বিধায়কের আরও অভিযোগ, বিজয় রূপানি সরকারের আমলে মদ নিষেধাজ্ঞা আইন কঠোর করা হয়েছিল। যদিও সেই একই সময়ে, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং দাদরা নগর হাভেলি এবং দিউ-দমনের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সীমান্তে চেকপোস্টগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা মদ পাচারের রাস্তা খুলে দেয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in