মোদী ডিগ্রি মামলায় কেজরিওয়ালের স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ গুজরাত হাইকোর্টে

কেজরিওয়াল ও সঞ্জয়ের ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা করে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালফাইল ছবি
Published on

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা মানহানির মামলায় হোঁচট খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আপ নেতা সঞ্জয় সিং। তাঁদের বিরুদ্ধে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দায়ের করা মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির দুই হেভিওয়েট নেতা। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি জানতে চেয়ে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন আপ প্রধান কেজরিওয়াল ও দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। তাঁরা জানান, মোদীর যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বারবার জানানো হয়েছে তা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ওয়েবসাইটে কোথাও লেখা নেই। এরপরেই কেজরিওয়াল ও সঞ্জয়ের "ব্যঙ্গাত্মক" এবং "অসম্মানজনক" মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা করে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়।

ওই মামলায় গত ১১ আগস্ট আপ প্রধান ও রাজ্যসভার সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিল গুজরাতের একটি মেট্রোপলিটন আদালত। নিম্ন আদালতের এই শমনের বিরুদ্ধে দুই আপ নেতা এই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে এরপর সেশন কোর্টে যান। কিন্তু সেখানেও তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও প্রত্যাশিত বিচার পেলেন না তারা।

এদিন বিচারপতি সমীর ডেভও আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেন, “এই মামলায় বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য নিম্ন আদালত আপনাদের ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু আপনারা আদালতে উপস্থিত হননি। কেন? আপনাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আপনারা আদালতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল
Haryana: নুহ-র ঘটনা প্রসঙ্গে ‘ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক’ ট্যুইট, সাংবাদিক গ্রেপ্তার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in