

তাঁদের অপরাধ তাঁরা দলিত। আর দলিত হয়েও তাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন। এই অভিযোগে এক পরিবারের ছয় জনকে বেধড়ক মারধর করা হল। শুধু তাই নয়, তাঁদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার জেরে পাঁচ জনকে আটক করা হয়। কিন্তু গুজরাত পুলিশের পদক্ষেপ নিতে সময় লেগে যায় তিন দিন। অভিযুক্তদের আটকের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কচ্ছের বাচাউ জেলার এই ঘটনায় অভিযোগ কুড়ি জনের বিরুদ্ধে।
নিগৃহীত পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, স্থানীয় উৎসব উপলক্ষে স্থানীয় রাম মন্দিরে প্রবেশের অপরাধেই এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের ওপর এই হামলা হয়েছে।
তবে গান্ধীধাম সিটি পুলিশ জানিয়েছে, গুরুত্ব দিয়েই অভিযোগের তদন্ত চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুজের একটি হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকের মাথায় ও দেহের অন্য অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ তদন্ত চালিয়ে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা প্রথমে আক্রান্ত দলিত পরিবারের চাষের জমিতে গবাদি পশু ঢুকিয়ে দেয় শস্য নষ্ট করার জন্য। তারপর তাঁদের বাড়িতে জোর করে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।
আক্রান্ত গোবিন্দ বাঘেলার অভিযোগ, ‘প্রতিষ্ঠান পর্ব চলার সময় কেন আমরা মন্দিরে ঢুকেছি? এটাই ওদের প্রশ্ন। ওরা আমাদের ফোন কেড়ে নেয়। আমার অটো আটকে রাখে। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, যাতে আমরা কোনওভাবেই সাহায্য চাইতে না পারি।'
পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলার ঘটনায় দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন