কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি সরকারি হাসপাতাল উদ্বোধনই হয়নি, বর্তমানে দুষ্কৃতিদের আস্তানা সেটি

People's Reporter: হাসপাতালটি তৈরি করতে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ৩০ শয্যার ওই হাসপাতালে ছিল সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। বর্তমানে হাসপাতালের জানলা-দরজাও চুরি হয়ে গিয়েছে।
উদ্বোধন হয়নি, বিহারের সরকারি হাসপাতাল পরিণত হয়েছে দুষ্কৃতিদের আস্তানায়
উদ্বোধন হয়নি, বিহারের সরকারি হাসপাতাল পরিণত হয়েছে দুষ্কৃতিদের আস্তানায়
Published on

২০১৫ সালে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়। এরপর প্রায় ১০ বছর কেটে যাওয়ার পরেও হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়নি। বিহারের মুজফফরপুরে ওই সরকারি হাসপাতালটি বর্তমানে দুষ্কৃতিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

মুজাফফরপুরে চাঁদপুর এলাকায় ছয় একর ছবির জমির উপর ওই হাসপাতালটি তৈরি করেছিল বিহার সরকার। হাসপাতালটি তৈরি করতে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ৩০ শয্যার ওই হাসপাতালে ছিল সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালটি অধিগ্রহণের কোনও উদ্যোগই দেখায়নি। যার ফলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মাঝে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালটি।

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে সেই হাসপাতালে না আছে কোনও চিকিৎসা সরঞ্জাম, না আছে শয্যা। এমনকি হাসপাতালে জানলা-দরজাও চুরি হয়ে গিয়েছে। চারপাশ আগাছায় ভরে গিয়েছে। বড় বড় ঘাস জন্মেছে। আশপাশে কোনও লোকালয় নেই। এমনকি অধিকাংশ প্রশাসনিক আধিকারিকদের দাবি, এ রকম একটি হাসপাতাল যে তৈরি রয়েছে, সেটি তাঁরা জানেনই না। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে উদ্বোধন হয় নি এই হাসপাতাল। যার ফলে গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য শহরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। গ্রামে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর কুমার জানিয়েছেন, “যখন এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল, তখন এলাকাবাসীরা একটা আশার আলো দেখেছিলেন। তাঁদের অনেকেরই আশা ছিল, ৫০ কিলোমিটার দূরে চিকিৎসা করাতে যেতে হবে না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে হাসপাতালই উদ্বোধন হল না।”

অন্যদিকে, মহকুমাশাসক (পশ্চিম) শ্রেয়া জানিয়েছেন, এ রকম একটি হাসপাতাল যে রয়েছে, তিনি জানেন না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। জেলশাসক একটি দল গঠন করে এই ঘটনাটির তদন্ত করবেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in