

বিচারপতি নিয়োগের জন্য ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থা’র বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু (Law Minister Kiren Rijiju)। তা নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যও করেছেন তিনি। আর, তা নিয়ে সরব হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রোহিন্টন ফালি নরিম্যান (Former Supreme Court judge Rohinton Fali Nariman)। রিজিজুর মন্তব্যকে ‘ডায়াট্রিব’ (diatribe) বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
শুক্রবার, মুম্বাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নরিম্যান বলেন, ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মধ্যে সরকারি হস্তক্ষেপের পরিণতি হবে ভয়াবহ। বিচার ব্যবস্থায় নাক গলানো দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার সামিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নাম স্থগিত রাখা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।’
ঠিক কি বলেছিলেন আইনমন্ত্রী রিজিজু?
গত রবিবার রিজিজু বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আচরণ গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, তিনজন আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল কলেজিয়াম। কিন্তু, মোদী সরকার তা মানেনি। আর, সরকারের সেই আপত্তি ফাঁস করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যা অত্যন্ত গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট নিজেই বিচারক নিয়োগের সিদ্ধান্তে অংশ নিয়ে সংবিধানকে ‘উপেক্ষা’ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানকে হাইজ্যাক করেছে’। আর, রিজিজুর এই মন্তব্য’র তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি নরিমান।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সরকার ও কলেজিয়াম ব্যবস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব সমানে চলছে। এর মধ্যেই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজ্জুর একাধিক মন্তব্য। বিচারক নিয়োগে কলেজিয়াম পদ্ধতিতে সরকারি প্রতিনিধিত্ব চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
সপ্তাহখানেক আগেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নাম সরকারকে অন্ধভাবে অনুমোদন করতে বাধ্য নয়। সেই সঙ্গে তিনি কলেজিয়াম সিস্টেমকে গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করেন।
কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতেই ২০১৫ সালে মোদী সরকার বড় পদক্ষেপ নেয়। সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সংসদে ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন