বেসরকারিকরণের কুফল বোঝাতে আমজনতার দ্বারস্থ হতে চলেছেন সরকারি ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা

১৯৬৯ সালের ১৯ জুলাই দেশে ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ করা হয়। তাই সেই ১৯ জুলাইকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এই দিনটি গোটা দেশে ব্যাঙ্ককর্মী, আধিকারিকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস হিসাবেও পালন করবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যাঙ্ক আধিকারিকরানিজস্ব চিত্র

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা এবার সাধারণ মানুষের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সুফল কী এবং বেসরকারিকরণের কুফল কী, সেটাই এবার আমজনতার দোরে দোরে গিয়ে বোঝানো হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আগামী কাল অর্থাৎ ১৯ জুলাই তাঁরা জনতার দরবারে যাবেন।

১৯৬৯ সালের ১৯ জুলাই দেশে ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ করা হয়। তাই সেই ১৯ জুলাইকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এই দিনটি গোটা দেশে ব্যাঙ্ককর্মী, আধিকারিকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস হিসাবেও পালন করবেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (এআইবিওসি)’র তরফে শনিবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছে।

সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত বলেন, '১৯ জুলাই বাদল অধিবেশন লোকসভায়। আমাদের আশঙ্কা, ব্যাঙ্কের যে আইন আছে, তা সংশোধনে বিল আনবে সরকারপক্ষ। আর সেই বিল যদি আইনে পরিণত হয়, তাহলে সরকারি ব্যাঙ্কের যখন খুশি বেসরকারিকরণে কোনওই বাধা থাকবে না। তাই এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও জোরদার করতে পাশে দরকার সাধারণ মানুষকেও।'

তাঁর কথায়, সরকারকে বুঝতে তাদের যাঁরা মসনদে বসিয়েছেন, তাঁদের স্বার্থবিরোধী কাজ করলে ফের সরিয়ে দেবেন। বর্তমান সরকার সরকারি ব্যাংকের ইতিহাস বিকৃত করছে। ব্যাঙ্কের জাতীয়করণকে ঐতিহাসিক ভুল বলে সম্বোধন করছে। সরকারি ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বলে কিছু থাকুক, সেটা সরকার চায় না। তাই ঋণখেলাপিদের পক্ষেই দাঁড়াতে চাইছে। শিল্পপতিদের ৩ লক্ষ কোটি টাকা করছাড় দিচ্ছে। আর সেই টাকা তুলতে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে সরকারি ব্যাংক বিক্রি করে সেই টাকা তুলতে চাইছে।'

তাঁদের অভিযোগ, এই কবছরে সরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির সুযোগ সঙ্কুচিত হয়েছে। সরকারি ব্যাংকের আরও বিস্তার হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তার উলটোই হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের জিডিপি হ্রাস পেলেও সরকারি ব্যাঙ্ক লাভের মুখ দেখেছে। যায় এই লড়াইয়ে আমানতকারী আমজনতাকেও তাঁরা পাশে চান।

সংগঠনের দাবি, ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে গ্রামীণ শাখাগুলি ক্রমশ বন্ধ হতে থাকবে। সাধারণ জনগণ, পেনশন প্রাপক, বয়স্করা কম সুদ পাবেন। কৃষিতে সুদে ছাড় পাওয়া যাবে না। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ছোট ব্যবসায়ী, কৃষকরা সমস্যার মুখে পড়বেন। পড়ুয়াদের ঋণ পেতে অসুবিধা হবে। শিক্ষিত বেকার বাড়বে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in