

ক'দিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, ১০ জনপথের পথিক হতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু অবশেষে জানা গিয়েছে, পিকে কংগ্রেসে যাচ্ছেন না। এরই মধ্যে বিতর্ক তুলে দল ছাড়লেন গোয়া তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কিরণ কান্ডোলকর। তার আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, পিকের জন্যই সৈকত রাজ্যে ভরাডুবি হতে হয়েছে তৃণমূলের। তৃণমূল অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, তাঁরা দলের গোয়া ইউনিট পুনর্গঠন করছে।
বুধবারই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদ ছেড়ে কিরণ বলেন, 'গোয়ায় তৃণমূলের লজ্জাজনক হারের দায় প্রশান্ত কিশোরের। ও গোয়ায় এসেছিল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করতে। ফলে ওর জন্যই রাজ্যে ফের বিজেপি ক্ষমতায় এল।' কান্ডোলকরের আশঙ্কা, গোয়ায় তৃণমূলের আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এই ব্যর্থতার দায় পিকের।
তিনি অবশ্য তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বলেছেন, 'মমতা বা অভিষেকের প্রতি আমার কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁরা গোয়ায় দলের নীতি নির্ধারণের ভার দেন আইপ্যাককে।'
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কিরণ কাণ্ডোলকর রাজ্য সভাপতি হন। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থীও হন। কিরণের স্ত্রী কবিতা কান্ডোলকরও প্রার্থী হন তৃণমূলের। কবিতা আগেই নিজের ‘সমর্থকদের দাবি মেনে’ দল ছেড়েছেন। বুধবার ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন কিরণও। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়েছেন তারক আরলোকর এবং সন্দীপ ভাজারকর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন