কোভিড চিকিৎসার ওষুধ মজুত করে গম্ভীর শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে: ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তর

গৌতম গম্ভীরের সংস্থার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তর। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওষুধ বণ্টন করা হয়েছে।
গৌতম গম্ভীর
গৌতম গম্ভীরফাইল চিত্র

বেআইনিভাবে কোভিড চিকিৎসার ওষুধ এবং অক্সিজেন সংগ্রহ ও মজুত রাখার অভিযোগে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের সংস্থার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওষুধ বণ্টন করা হয়েছে। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ১৯৪০ সালের ড্রাগ এবং কসমেটিকস আইন অনুযায়ী তদন্ত করানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

এদিকে প্রথমবার গৌতম গম্ভীর সংস্থাকে ক্লিনচিট দেওয়ার পর দ্বিতীয় যে রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর পেশ করেছে, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিচারপতিরা তা মেনে না নেওয়ায় ফের রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন। ডিসিজিআই জানিয়েছে, বিজেপি সাংসদের সংস্থার কোনও ড্রাগ লাইসেন্স নেই। এই লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ কেনা, মজুত বা বণ্টন করা যায় না।

কয়েকদিন আগে আদালতে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তা আবর্জনা বলে উল্লেখ করেছে আদালত। ড্রাগ কন্ট্রোলের উপর থেকে তাদের ভরসা চলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি বিপিন সাংঘি, জসমিত সিং। তদন্তে মৌলিক ভুল ছিল বলে জানান তাঁরা।

দিল্লিতে কোভিড মহামারীর সময় বিজেপি সাংসদের সদর দফতর থেকে অক্সিজেনের পাশাপাশি চিকিৎসার অন্যতম প্রয়োজনীয় ওষুধ ফেবিফ্লু বাজেয়াপ্ত হয়। এই ওষুধ বেআইনি ভাবে মজুত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও প্রাক্তন ক্রিকেটার দাবি করেছিলেন, ২২ এপ্রিল থেকে ৭ মে দিল্লির জাগৃতিনগরে তার সংস্থা মেডিকেল শিবির করে এসব ওষুধ বিলি করেছেন। বিচারপতিরা এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছিলেন, নিজেরাই সমস্যা তৈরি করে তারপর মানুষের রক্ষাকর্তা সাজার এই ভূমিকা নিন্দনীয়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in