বিনামূল্যে টিকাকরণ অভিযান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়ার নির্দেশকে 'নির্লজ্জ প্রচার' বলে ইউজিসিকে একহাত নিয়েছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য এই প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চরম ব্যর্থ মোদি সরকার, সেখানে বিনামূল্যে টিকাকরণের প্রচার করে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাও আবার ইউজিসির মতো প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক ও পড়ুয়া সংগঠনগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও শিক্ষা নেওয়ার কথা না বলে, নিজেদের ব্যর্থতাকে হোয়াইটওয়াশ করতে এই ধরনের প্রচার করতে বেশি আগ্রহী।
হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের পিএইচডির ছাত্র অজয় কুমার জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে মিলে পড়ুয়া, ফ্যাকাল্টি স্টাফ, অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের টিকা দিচ্ছিল। কিন্তু বিনামূল্যে টিকাকরণের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল পড়ুয়া, স্টাফদের তরফে। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সত্যিটা সকলের চোখের সামনে রয়েছে, ইউজিসি ঠিক কাকে বোকা বানাতে চাইছে বলে প্রশ্ন করেন অজয়।
তেলঙ্গানার করিমনগর জেলার সতভাহানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশিওলজির শিক্ষিকা সুজাতা সুরেপাল্লি জানিয়েছেন, যে কোনও নির্বাচিত সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণ। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ঢুকিয়ে দিয়ে প্রচার চালানোর জন্য কারণ দর্শাতে হবে ইউজিসিকে। জনস্বাস্থ্যে এই টিকাকরণ অভিযান চালানো হয়ে থাকে, কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এইধরনের পোস্টার টানানোর কথা বলা হল বলেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
জেএনইউ-এর শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক মৌসুমী বসু দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পড়ুয়া, কর্মচারী, আবাসিক পড়ুয়ারা সংক্রমিত হয়ে একের পর এক মারা যাচ্ছিলেন, তখন এই উদ্যোগ দেখা যায়নি সরকারের। ইউজিসি যে এরকম নির্দেশিকা জারি করতে পারে, তাও তিনি কখনই ভাবতে পারেননি বলেও জানান।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।