

আদালতে তাঁর করা একাধিক মন্তব্য ঘিরে বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রোহিত আর্য যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণের দু’মাসের মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। শনিবার ভোপালে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতির হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
আদালতে করা তাঁর একাধিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে এক শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্তকে জামিনের এক অদ্ভূত শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় প্রাক্তন বিচারপতি জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তকে রাখিবন্ধন উৎসবের দিন ওই মহিলার বাড়িতে রাখি এবং মিষ্টি নিয়ে যেতে হবে। ওই মহিলা তাঁকে রাখি পরালে জামিন মিলবে। বিচারপতির যুক্তি ছিল, ভাই-বোনের সম্পর্ক তৈরি হলে এই ধরনের অপরাধের প্রবণতা কমবে। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট রোহিতের ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিলেন।
এরপর ২০২১ সালে বিখ্যাত কৌতুকশিল্পী মুনাব্বর ফারুকির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি। সেই সময় গোটা দেশ ফারুকির জামিনের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয় তাঁকে।
শুনানি চলাকালীন পুলিশ, সরকারি আধিকারিক, আইনজীবীদের ধমক দেওয়ার জন্যও বিখ্যাত রোহিত আর্য। তাঁর ভার্চুয়াল শুনানির অনেক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানে একাধিকবার তাঁকে পুলিশ, সরকারি আধিকারিক, আইনজীবীদের ধমক দিতে দেখা গেছে।
১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন রোহিত। দেওয়ানি, কোম্পানি, শিল্প সংক্রান্ত মামলায় পারদর্শী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৩ সালে প্রবীণ আইনজীবী হিসাবে স্বীকৃতি পান রোহিত। ২০১৩ সালে বিচারপতি হন। ২৭ এপ্রিল বিচারপতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন রোহিত। শনিবার মধ্যপ্রদেশ বিজেপি ভোপালে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। সেখানেই বিজেপিতে যোগ দেন হাই কোর্টের ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন