
পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবির পরই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন গভর্নর সত্য পাল মালিককে তলব করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্স নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই মামলায় সাক্ষী হিসাবে ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সত্য পাল মালিককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সিবিআই তলবের কথা স্বীকার করেছেন প্রাক্তন গভর্নর। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে এজেন্সির আকবর রোড গেস্টহাউসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “সিবিআই কিছু স্পষ্টীকরণ চায়, যার জন্য আমাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আমি এখন রাজস্থান যাচ্ছি। তাই আমি তাদের ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে যে কোনোদিন একদিন আমাকে তারিখ দিতে বলেছি। ওইসময় আমি হাজিরা দিতে পারবো।“
২০১৮ সালে জম্মু কাশ্মীরের গভর্নর থাকাকালীন শিল্পপতি অনিল আম্বানির মালিকানাধীন কোম্পানির একটি চুক্তি বাতিল করেছিলেন। ট্রিনিটি রিইন্স্যুরেন্স ব্রোকার্সের সাথে সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মীরের সরকারী কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স বীমা প্রকল্প চালু করতে চেয়েছিল অনিল আম্বানির রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
মালিক এই বীমা প্রকল্পে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে চুক্তি বাতিল করে দেন। এরপর এই নিয়ে মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে সিবিআই।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমা চুক্তিটি চালু হয়েছিল। প্রায় ৩.৫ লক্ষ কর্মচারী ছিল এই বিমার আওতায়। একমাসের মধ্যেই বাতিল করা হয় চুক্তিটি।
সেই সময়ে মালিক বলেছিলেন, রাজ্য সরকারী কর্মীরা নিজেরাই চুক্তিটি বাতিল করতে চেয়েছিলেন কারণ তারা এটিকে "প্রতারণামূলক" বলে মনে করেছিলেন। তিনিও বিষয়টি দেখার পরে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "আমি নিজেই ফাইলগুলি দেখেছিলাম। আমি বুঝতে পারলাম চুক্তিতে একাধিক গলদ রয়েছে। তখনই আমি এটি বাতিল করে দিয়েছিলাম।“
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই নিউজ ওয়েবসাইট দ্য ওয়্যারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন সেই সময় জম্মু কাশ্মীরের গভর্নর থাকা সত্যপাল মালিক। সিআরপিএফ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের "অযোগ্যতা" এবং "অবহেলার" ফলেই সেনা কনভয়ে হামলা হয়েছিল তিনি দাবি করেছিলেন। মালিক জানিয়েছেন, সিআরপিএফ তার জওয়ানদের পরিবহনের জন্য একাধিকবার বিমানের দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এমনকি এই ত্রুটিগুলি নিয়ে প্রকাশ্যে তাঁকে মুখ খুলতে নিষেধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং এনএসএ অজিত ডোভাল।