

প্রয়াত দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সোমানহাল্লি মাল্লাইয়া কৃষ্ণ, যিনি পরিচিত এসএম কৃষ্ণ নামে। মঙ্গলবার ভোররাতে ব্যাঙ্গালোরে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এসএম কৃষ্ণের আমলেই ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে ব্যাঙ্গালোরের নাম উঠে আসে বিশ্ব মানচিত্রে।
অসুস্থতার কারণে অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কৃষ্ণকে। তবে কিছুটা সুস্থ হলে কিছু দিন আগে বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৩ টে নাগাদ ব্যাঙ্গালোরতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আরও জানা যাচ্ছে, কৃষ্ণের মরদেহ মঙ্গলবারই তাঁর জন্মস্থান কর্ণাটকের মাদ্দুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
১৯৩২ সালের ১ মে কর্ণাটকের মান্ডা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এসএম কৃষ্ণ। আমেরিকা থেকে আইনে স্নাতক হন কৃষ্ণ। এরপর ১৯৬২ সালে সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে অভিষেক হয় তাঁর। প্রজা সোশালিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসাবে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হারিয়ে দেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ৬ বছর পরে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। ১৯৭২ সালে ফের কর্ণাটকের নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি, তবে কংগ্রেসের টিকিটে। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার ছিলেন কৃষ্ণ। ১৯৭১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সালে কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন সেখানে বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। এরপর কৃষ্ণ হন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলেই বিশ্বমঞ্চে ‘সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিতি পায় ব্যাঙ্গালোর। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ব্যাপক উন্নতি করে এই সময়ে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০০৪ সালে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হন তিনি।
এরপর ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় ইউপিএ মন্ত্রিসভায় বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলান তিনি। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন কৃষ্ণ। এরপর থেকে তাঁকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি। ২০২৩ সালে জনকল্যাণ সংক্রান্ত কাজে অবদানের জন্য কৃষ্ণকে পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন