দলীয় প্রচারে ব্রাত্য মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী! ‘ওরা ভয় পেয়েছে’ - দাবি নেত্রীর

২০০৩ সালে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মধ্যপ্রদেশের দিগ্বিজয় সিংহের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন উমা ভারতী।
উমা ভারতী
উমা ভারতীফাইল চিত্র - সংগৃহীত

রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার হিসেবে সোমবার মধ্যপ্রদেশে ‘জন আশীর্বাদ যাত্রা সূচনা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান তথা সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কিন্তু এতবড় দলীয় কর্মসূচীতে আমন্ত্রণই পেলেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের বর্ষীয়ান নেত্রী উমা ভারতী। এই নিয়ে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে বর্ষীয়ান ওই নেত্রীকে ‘একঘরে’ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে। উমা ভারতী নিজে জানিয়েছেন, “ওরা (বিজেপি নেতৃত্ব) হয়তো ভয় পেয়েছে, আমাকে ডাকলে হয়তো মানুষের সমস্ত মনোযোগ আমার দিকেই থাকত।”

চলতি বছরের শেষের দিকেই মধ্যপ্রদেশ-সহ মোট ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও ইতিমধ্যেই সেই নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। সোমবার সাত-সকালে মধ্যপ্রদেশে জন আশীর্বাদ যাত্রার উদ্বোধন করলেন বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডা। কিন্তু দলীয় এই প্রচার কর্মসূচী থেকে কার্যত দূরে রাখা হল দলের বর্ষীয়ান নেত্রী উমা ভারতীকে। ৬৪ বছর বয়সী উমা এই নিয়ে জানিয়েছেন - “২০২০ সালে যদি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলকে সরকার গড়তে সাহায্য করেছে। ২০০৩ সালে আমিও দলকে আরও বড় সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে সাহায্য করেছিলাম।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “সিন্ধিয়াকে আমি আমার ভাগ্নে হিসেবে পছন্দ করতাম। তাই এই যাত্রার উদ্বোধনে আমি অবশ্যই আমন্ত্রণ পাওয়ার যোগ্য। অবশ্য আমাকে ডাকলেও আমি যেতাম না। কিন্তু আমি এখনও বিজেপির জন্য প্রচার করব, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইব।”

ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রবীণ নেতা তথা দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ উমা ভারতীকে অসম্মান করে ‘একঘরে’ করে দেওয়ার অভিযোগ করে ইতিমধ্যেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার মতে, যে রাম মন্দির আন্দোলন বিজেপিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে সেই আন্দোলনের প্রথমসারির নেত্রী উমা ভারতীকেই ‘একঘরে’ করে দিয়েছে বিজেপি।

সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, “দলটি এর আগেও উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানিকে এবং অবসরপ্রাপ্ত মুরলী মনোহর যোশীকে একঘরে করে দিয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিতে বড়দের সম্মান না করলে ভগবানও ক্ষমা করে না।”

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মধ্যপ্রদেশের দিগ্বিজয় সিংহের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন উমা ভারতী। তবে ২০০৫ সালে উচ্ছৃঙ্খলতার অভিযোগ দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় তাকে। যদিও ২০১১ সালে ফের বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।

উমা ভারতী
‘NCP-তে ভাঙন ধরেনি, অজিত আমাদেরই নেতা!’ INDIA শিবিরের বৈঠকের আগেই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শরদ পাওয়ারের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in