

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছিল বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন। যার মধ্যে ছিল Federation of Resident Doctors' Association (FORDA)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সাথে বৈঠকের পর তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা করে ফোরডা।
মঙ্গলবার রাতে জেপি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠক করেন ফোরডার প্রতিনিধি দল। তাদের দাবিগুলি মেনে নেওয়ার কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়ছে বলে জানিয়েছে ফোরডা ।
ফোরডার বিবৃতিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সাথে আলোচনা সন্তোষজনক। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনে কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে ফোরডার সদস্যদের। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। আমরা আমাদের ধর্মঘট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করছি। আশা করা হচ্ছে গোটা দেশে আবাসিক চিকিৎসকরা দ্রুত নিজের নিজের কাজে ফিরবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "সকল চিকিৎসক কর্মীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য আইনটি বাস্তবায়িত করা হবে। এর রূপরেখা ভবিষ্যতে বৈঠকে বসে ঠিক করা হবে। এই বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য ফোরডার তরফ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। আমাদের মূল লক্ষ্যই হল মানুষের সেবা করা। এই মানবিক কাজ তখনই সফল হবে যখন চিকিৎসকরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবেন"।
ফোরডার তরফ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হলেও দেশের অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন চালানো হচ্ছে। এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক রঘুনন্দন দীক্ষিত জানান, "এখনও পর্যন্ত, আমরা কোনও সুনির্দিষ্ট সমাধান পাইনি। তাই আমরা বুধবারও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। ওপিডি, ওটি এবং ওয়ার্ডগুলি বন্ধ থাকবে।"
Federation of All India Medical Associations (FAIMA)-র পক্ষ থেকে বলা হয়, "কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার জন্য FORDA-এর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। কারণ অধিকাংশ চিকিৎসক এর বিরোধিতা করেছেন৷ কেন্দ্রীয় হাসপাতালগুলি তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে। আমরাও কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা মানে মহিলা চিকিৎসকরা কোনোদিনই বিচার পাবেন না। আন্দোলন খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে আন্দোলন গতি হারাবে। পুনরায় একই ধরণের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন