

স্রেফ সন্দেহের বশে গণপিটুনির জেরে মৃত্যুর ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল। মনে করিয়ে দিল ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডে পিটুনিতে মৃত্যু হওয়া তবরেজ আনসারির কথা। এবারের ঘটনাস্থলও ঝাড়খণ্ডের সিরকা গ্রাম। নিহতের নাম মুবারক (২৬)। এই ঘটনায় ১৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ প্রায় একইভাবে রাঁচির কোতোয়ালি পুলিশ থানা এলাকায় প্রায় ৪০ জন মিলে শচীন কুমার ভার্মা নামে ২২ বছরের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর ক্ষেত্রেও গাড়ি চুরির সন্দেহবশে মারধোর করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ, শনিবার রাতে মোটর বাইকের ব্যাটারি এবং চাকা চুরির সময় স্থানীয় বাসিন্দারা নাকি তাঁকে দেখতে পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। মহেশপুরের বাসিন্দা ওই যুবক কাজের উদ্দেশ্যে এই গ্রামে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাঁকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে চলে বেধড়ক মারধর। খবর পেয়ে রবিবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে ওই যুবক মারা যান। পুলিশ মৃতদেহ থানায় নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে রাঁচির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
নিহতের পরিবার এবং বেশ কিছু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগ এবং ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে মুবারককে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার জেরে নিহতর দাদা থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় ২৫ জনের অজ্ঞাতপরিচয়ের উল্লেখ আছে এফআইআরে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, দুবছর আগে জয় শ্রীরাম না বলার জন্য গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তবরেজ আনসারির। সেই ঘটনাও গোটা দেশেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন