

পেট্রোপণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম থেকে সরকরের উপার্জন বেড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের (২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ) প্রথম চার মাসে (এপ্রিল থেকে জুলাই) পেট্রোপণ্যের উপর লাগানো আবগারি শুল্কের লেভি থেকে সরকারের আয় বেড়েছে ৪৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের আয়-ব্যয়ের হিসেব রাখা কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ) প্রথম চার মাসে (এপ্রিল-জুলাই) পেট্রোপণ্যের ওপর লাগানো আবগারি শুল্কের লেভি থেকে সরকারের আয় হয়েছিল ৬৭ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এই চার মাসে সরকারের আয় হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এই বছর সরকারের পেট্রোপণ্য থেকে সরকারের আয় বেড়েছে ৩২ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা, যা পুরো অর্থবর্ষের আইনি অয়েল বন্ডের পরাশোধিত দায়ের (১০ হাজার কোটি) তিন গুণেরও বেশি। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার পেট্রোপণ্যের ভর্তুকিতে অয়েল বন্ড জারি করেছিল।
প্রসঙ্গত, পেট্রোল এবং ডিজেল জিএসটি (Goods and Services Tax)-এর আওতায় আসে না। এগুলোর ওপর আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়। এছাড়াও এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (এটিএফ) এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপরেও জিএসপি আরোপ করা হয় না।
শেষ কয়েক মাসে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অপ্রত্যাশিতহারে বেড়েছে। লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম অধিকাংশ রাজ্যেই ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ডিজেলের দামও সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। এর ওপর গত বছর এই সময় দেশব্যাপী লকডাউন জারি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যই লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে। যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে গতবছরের তুলনায় পেট্রোল-ডিজেলের বিক্রি বেড়েছে। সব মিলিয়ে আবগারি শুল্কের আদায় বহুগুণ বেড়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন