

আগামীকাল হরিয়ানায় শাসকদলের সমস্ত বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন কৃষকরা। ধান কেনা শুরু করার জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার পাশাপাশি পঞ্জাবের জেলা কালেক্টরের সদর দফতরের সামনেও ধর্নায় বসবেন কৃষকরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত।
ট্যুইটারে হিন্দিতে রাকেশ টিকাইত লেখেন, "ধান কেনা শুরু করার দাবিতে হরিয়ানায় বিজেপি-জেজেপি বিধায়কদের বাড়ির সামনে এবং পাঞ্জাবে কালেক্টরের কার্যালয়ের বাইরে আগামীকাল বিক্ষোভ দেখাবেন কৃষকরা।"
শুক্রবার থেকে ফসল কেনার কথা ছিল হরিয়ানা সরকারের। কিন্তু এখনও এবিষয়ে কোনো উদ্যোগই নেয়নি সরকার। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে ফসল কেনা। এই নিয়ে কৃষকদের পাশাপাশি বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে এটা সরকারের নতুন কোনো ষড়যন্ত্র।
কংগ্রেসের কথায়, শীঘ্রই ধান না সংগ্রহ করা হলে প্রচুর পরিমাণে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরযেওয়ালা বলেছেন, "২০ সেপ্টেম্বর থেকে লক্ষ লক্ষ কুইন্টাল ধান মান্ডিতে আসা শুরু হয়েছে। এরপর এগারো দিন কেটে গেছে। হরিয়ানা সরকার এখনও একটি দানাও কেনেনি। প্রায় ২০ লক্ষ কুইন্টাল ধান খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা বন্ধ করার এটি একটি পরিষ্কার ষড়যন্ত্র।"
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আজ প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক করেছেন চরণজিৎ সিং চান্নি। বৈঠকে কৃষকদের থেকে শীঘ্রই ধান কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন