

ফসল কাটার সময় চলে যাওয়ার পর ফের পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে প্রতিবাদস্থলে নিজেদের দাবিতে জড়ো হতে শুরু করেছে। ১০ মে ও ১২ মে দিল্লির প্রতিবাদস্থলে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। কৃষক নেতারা বলছেন, সীমান্তের প্রতিবাদস্থল থেকে কৃষকরা করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে গুজব রটানো হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া কিষান সভার প্রাক্তন নেতা বলজিৎ সিং গ্রেওয়াল জানিয়েছেন, গত ৪ মাস আগে কেন্দ্র কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না হওয়ায় বহু কৃষক ফিরে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিজেপি ও তার শরিক দলগুলো ক্রমাগত গুজবও রটিয়ে বেরাচ্ছে। করোনা অতিমারির কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ করতে চাইছে কৃষক সংগঠনগুলো। এদিকে, মিডিয়ার একটি অংশও করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য কৃষকদের দিকেই আঙুল তুলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ভাইরাস সংক্রমণের এই অভিযোগকে কখনই বাড়তে দেওয়া যেতে পারে না। বিজেপি ও তাদের প্রচারক সংবাদমাধ্যমগুলো অপেক্ষা করে রয়েছে একটি ভুলের জন্য। যা পেলেই সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে কৃষকদের দিকে অনায়াসে আঙুল তুলে দেওয়া যেতে পারে।
উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও আরও ৫টি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি সরকারকে মানুষ যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লাখো মানুষকে ডেকে আনাই যেত, কিন্তু মহামারি আবহে তা কৃষকদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু এখন সরকারকে ঠিক করতে হবে, আসলে সে কী করতে চায়। ক্রান্তিকারি কিষান ইউনিয়নের সভাপতি দর্শন পল জানিয়েছেন, 'শাসক সরকার যদি নিজেদের মতো করে এই কৃষি আইনের বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যে দশা হয়েছে বিজেপির, সেই অবস্থা হবে সব জায়গায়।আমরা সব গ্রামে গিয়ে মানুষদের আবেদন করবো ভোটের মাধ্যমে বিজেপিকে শিক্ষা দেওয়ার। এবং সামাজিকভাবে দলের কর্মীদের বয়কট করতে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন